ব্যুরো নিউজ,২৪ ফেব্রুয়ারি:বর্তমানে শিশুদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে, তবে কিছু ক্ষেত্রে শিশুদের ওজন কম হওয়া এবং শরীরিক উন্নতির অভাবও দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে শিশুর শরীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশের সময় যদি তাদের ওজন কম বা শীর্ণ হয়ে থাকে, তাহলে এটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বয়স এবং ওজন অনুযায়ী ‘বডি মাস ইনডেক্স’ (BMI) যদি ৫-এর নিচে থাকে, তবে অভিভাবকদের চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক। কিছু ক্ষেত্রে, যেমন ‘প্রি-ম্যাচিয়োর’ শিশুদের পরবর্তীতে ওজন বৃদ্ধি পায় না, অথবা গর্ভাবস্থায় মা-র শারীরিক সমস্যা থাকলে শিশুদের জন্মের সময়ও ওজন কম থাকতে পারে।
সদ্যোজাত ও শিশু চিকিৎসকদের উদ্যোগে ‘নিও পেডিকন’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। কি তথ্য উঠে এলো?
শিশুর ওজন কম হলে কীভাবে বুঝবেন?
শিশুর বয়স এবং উচ্চতার অনুপাত অনুযায়ী তার গড় ওজনের কিছু সীমা রয়েছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন বয়সে শিশুর গড় ওজনের কিছু পরিসীমা দেওয়া হচ্ছে:
- ৬ মাসের শিশুর গড় ওজন: ৭-৯.২ কেজি
- ৮ মাসের শিশুর গড় ওজন: ৭.৮-৯.৮ কেজি
- ৯ মাসের শিশুর গড় ওজন: ৮-১০.৫ কেজি
- ১ বছরের শিশুর গড় ওজন: ১০ কেজি বা তার একটু বেশি (ছেলে), ৯ কেজি (মেয়ে)
- ৩-৫ বছরের ছেলের গড় ওজন: ১৪-১৭ কেজি, মেয়ের গড় ওজন: ১৪-১৬ কেজি
শিশুর ওজন কম হলে করণীয়:
শিশুর ওজন কম হলে, প্রথমে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, জোর করে অনেক খাবার খাওয়ালেই তা কাজ করবে না। বরং বারে বারে অল্প অল্প করে খাওয়াতে হবে। এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:
১) সুষম খাবার: শিশুকে ভাত, রুটি, ডালিয়া, ওটস ইত্যাদি সুষম খাবার খাওয়ান। পাতে সব ধরনের সবজি রাখুন।
২) দুধ: শিশুকে মেপে মেপে দুধ খাওয়ান। এক বছর বয়সের পর ৫০০ মিলিলিটার দুধই যথেষ্ট।
৩) ফল: শিশুকে নিয়মিত ফল খাওয়ানো অভ্যাসে পরিণত করুন। যেমন আপেল, কলা, জাম, আঙুর ইত্যাদি ৫০-১০০ গ্রাম পরিমাণে খাওয়ান।
কলকাতা মেট্রোর নতুন পরিকল্পনায় যাত্রী পাওয়া যাবে কি?
৪) আলু: ওজন কম হলে আলু বা মিষ্টি আলু খাওয়াতে পারেন। আলু সেদ্ধ, আলু-মরিচ দিয়ে রান্না করা খুবই উপকারী।
৫) খিচুরি: খিচুরি শিশুর জন্য ভালো, কারণ এটি চাল, ডাল এবং বিভিন্ন ধরনের আনাজের সংমিশ্রণ।
৬) মাছ ও মাংস: মাছ ও মাংস শিশুদের শক্তির জন্য ভালো, তবে সেদ্ধ খাবার বেশি খাওয়াতে হবে।
৭) বৈচিত্র্যময় খাবার: একই খাবার বার বার না দিয়ে, বিভিন্ন ধরনের খাবার দিন। মুগ ডালের চিলা বা চিঁড়ের পোলাও বেশ ভালো হতে পারে।
৮) হোমমেড মিল্কশেক: প্যাকেটজাত মিল্কশেক না দিয়ে বাড়িতে বাদাম দিয়ে মিল্কশেক বানিয়ে শিশুকে দিন। এতে আরও পুষ্টি পাওয়া যাবে। এছাড়া চিজ, দই, এবং লস্যি শিশুর হাড় মজবুত করবে।
শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বিকাশের জন্য এ ধরনের সুষম খাদ্য ও যত্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে খাবার পরিবেশন এবং যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধির হার বাড়ানো সম্ভব।