আবার বাঘের আতঙ্ক এবার কুলতলিতে  

ব্যুরো নিউজ,৭ জানুয়ারি:বিগত কয়েকদিন ধরে বাংলার বিভিন্ন অংশে বাঘের উপস্থিতি নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি সিমলিপাল থেকে বাংলায় চলে আসা বাঘিনী ‘জিনাত’ ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। আর এখন একটি নতুন ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে পুরুলিয়া ঘেঁষা ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে আরও একটি বাঘের চলাফেরা নিয়ে খবর মিলেছে। এর মধ্যে কুলতলির মৈপীঠের বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীকান্ত পল্লি ও কিশোরীমোহনপুর এলাকায় বাঘের উপস্থিতি নিয়ে নতুন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।সম্প্রতি এই এলাকাতে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের তাজা পায়ের ছাপ দেখা গেছে। পাশাপাশি, বাঘের গর্জনও শোনা গেছে, যা গ্রামবাসীদের মধ্যে ভয় এবং উদ্বেগ তৈরি করেছে। স্থানীয়দের মতে, বাঘটি মাতলা নদী সংযোগকারী ওরিয়ন খাঁড়ি পেরিয়ে কিশোরীমোহনপুরে চলে এসেছে। এই ঘটনায় বন দফতর তৎপর হয়ে উঠেছে এবং বাঘটিকে পুনরায় জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

আর জি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ৫ অভিযুক্তের জেল হেফাজত, সন্দীপ ঘোষের জামিন আবেদন খারিজ

প্রতিকার সম্ভব?

বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার সকালেই তারা খবর পায় যে একটি বাঘ জঙ্গল ছেড়ে গ্রামে ঢুকে পড়েছে। এরপর বনকর্মীরা স্থানীয়দের সাহায্যে সেই এলাকা জাল দিয়ে ঘিরে ফেলে এবং সেখানে কড়া নজরদারি শুরু করেছে। রায়দিঘির রেঞ্জ অফিসার নিজে গিয়ে বিষয়টি দেখছেন। বন দফতরের কর্মীরা বাঘ ধরার জন্য খাঁচা পাতা শুরু করেছে।বাঘের আতঙ্ক প্রসঙ্গে বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শঙ্কর দাস বলেন, শ্রীকান্ত পল্লি সংলগ্ন দ্বীপের জঙ্গল থেকে মাঝে মধ্যেই বাঘ লোকালয়ের কাছে চলে আসে। সম্প্রতি নদীর পাড়ে এক মৎস্যজীবীর চোখে প্রথম বাঘের পায়ের ছাপ পড়ে এবং এরপরেই শুরু হয় বাঘের খোঁজ। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বাঘের গর্জন শোনার পর তাদের ভয় আরও বেড়ে যায়।এদিকে, কিছুদিন আগে বৈকুণ্ঠপুরের এক গ্রামবাসী বাঘের আক্রমণে আহত হয়েছিল বলে খবর পাওয়া যায়। এছাড়া, সম্প্রতি মৃত একটি গবাদি পশু নদীর পাড়ে পাওয়া গিয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ওই মৃত পশুর গন্ধে টান পেয়ে বাঘটি লোকালয়ের দিকে চলে আসতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দারা এখন বেশ আতঙ্কিত, কারণ বাঘের চলাচল এবং আক্রমণের সম্ভাবনা যে কোনো মুহূর্তে তৈরি হতে পারে।

ধনাঢ্য যোগঃ কিছু রাশির ভাগ্যে আসছে বিপুল লাভ, জেনে নিন কোন কোন রাশি?

বন দফতর এখন অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে যাতে বাঘটি নিরাপদে ফিরে যেতে পারে। এর সঙ্গে গ্রামবাসীদের সচেতন করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিশেষত, যেহেতু এ ধরনের ঘটনায় মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারে, তাই বন দফতরের চেষ্টা থাকবে দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার।এভাবে, কুলতলির গ্রামগুলিতে বাঘের আতঙ্ক বাড়ছে, এবং বন দফতর একে গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে। তবে, এই আতঙ্কের মধ্যে এক প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—কীভাবে এই ধরনের ঘটনার প্রতিকার সম্ভব?

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর