the solidarity behind the junior doctors' movement

ব্যুরো নিউজ,১৮ সেপ্টেম্বর:জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন বর্তমানে একটি বিশেষ অভিজ্ঞতার সাক্ষী। দলে দলে সাধারণ মানুষ আন্দোলনস্থলে এসে খাদ্য সহায়তা নিয়ে হাজির হচ্ছেন। তাদের হাতে নানা ধরনের খাবার—কেউ মিষ্টি নিয়ে এসেছেন, কেউ কেক, আবার কেউ খিচুড়ি রান্না করে এনেছেন। হোটেল ম্যানেজমেন্টের ছাত্রছাত্রীরা এই খাবার পরিবেশন করছেন।

এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় হকির সাফল্য: চিনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন

অন্নপূর্ণার ভাণ্ডার

একদল যুবক যখন খাবার হাতে নিয়ে আসেন, তখন তাদের মুখে হাসি। তারা বলেন, “আমরা সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ করতে পারি না, কিন্তু যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তাদের জন্য একটু সহযোগিতা করতে পারলে নিজেদের ধন্য মনে করি।” এই যুবকদের কথা শুনে মনে হয়, তারা যেন সমাজের জন্য একটি নতুন উদাহরণ স্থাপন করছেন।সকাল হলেই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অনেকেই এসে উপস্থিত হন। এক মহিলা বলেন, “ওরা লড়াই করছেন। খাবার দিয়ে আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তাদের পাশে থাকব।” চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে খাবার বিতরণ করছেন ট্যাক্সিচালক ও ছোট ব্যবসায়ীরা। এক নিরাপত্তারক্ষী জানান, “কাছের অফিসে কাজ করি। সময় পেলেই এখানে আসি, ওদের সুরক্ষা দেখাও তো আমাদের দায়িত্ব।”এভাবে আন্দোলনটি বাংলার পরিচিত ছবিটাকেই বদলে দিয়েছে। এতদিন বিক্ষোভ মানেই প্রচুর মাইক, বিরাট ব্যানার এবং নেতা-নেত্রীর ছবি। কিন্তু এই ধর্নাস্থলে সেই দৃশ্য নেই। এখানে সাধারণ মানুষ আসছেন, নীরবে খাবার দিচ্ছেন এবং চলে যাচ্ছেন। তারা কোনও প্রাপ্তি স্বীকার করতে চান না বা ছবি তুলতে চান না। এটি সত্যিই বাংলার এক নতুন চিত্র।

টয় ট্রেনের পরিষেবা বন্ধ: পাহাড়ে অতিবৃষ্টির প্রভাব

বাড়তি খাবার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, এক জুনিয়র ডাক্তার জানান, “বহু মানুষকে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। ড্রাই ফুড আমরা ত্রাণ হিসেবে পাঠাব।” রামকৃষ্ণ মিশনের কাছে প্রয়োজনে খাবার পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। ধর্নাস্থলে যেন অন্নপূর্ণার ভাণ্ডার তৈরি হয়েছে, খাবার ফুরোনর আগেই আরও চলে আসছে।এমনকি, অনলাইন ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে কে কে অর্ডার করছেন, তার পরিচয় জানার উপায় নেই। এই অসামান্য সহানুভূতি এবং একতা সত্যিই সকলের মনে একটি নতুন প্রেরণা জাগিয়েছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর