ব্যুরো নিউজ,১৫ জানুয়ারি:সম্প্রতি, আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসে ভয়াবহ দাবানলের একাধিক ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে, যা দেখে সারা বিশ্বের মানুষ বিস্মিত হয়েছে। একের পর এক বাড়ি এবং গাড়ি পুড়ে কঙ্কালসার চেহারা নিয়ে পড়ে রয়েছে। এরই মধ্যে, কিছু ধর্মীয় গোড়াতন্ত্রী ব্যক্তিরা দাবানলের ঘটনা নিয়ে আলটপকা মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। লস অ্যাঞ্জেলসের দাবানলও এসব মন্তব্যের বাইরে থাকতে পারেনি।
শুক্র-রাহুর মীন রাশিতে মিলনঃ ৫ রাশির জন্য শুভ যোগ। জানুন কোন কোন রাশি?
একটি লাল বাড়ি অক্ষত
ভারতীয় বংশোদ্ভূত, বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন একাধিক পোস্টের মাধ্যমে এই ধর্মীয় গোড়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তসলিমা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে একটি ছবির কথা উল্লেখ করেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে একদিকে ধ্বংসস্তুপ এবং অন্যদিকে একটি লাল ছাদওয়ালা বাড়ি অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। ছবির সঙ্গে তসলিমা লিখেছেন, ‘‘দাবানলে সব বাড়ি পুড়ে গেছে, শুধু একটি লাল বাড়ি অক্ষত রয়েছে। খ্রিস্টানরা দাবি করছে, বাইবেল থাকার কারণে বাড়িটি পুড়েনি, মুসলিমরা দাবি করছে কোরান থাকার কারণে বাড়িটি অক্ষত। কিন্তু দুই ধর্মই মিথ্যা বলছে।’’ তসলিমা স্পষ্টভাবে জানান, এই ছবিটি লস অ্যাঞ্জেলসের নয়, বরং ২০২৩ সালে হাওয়াইয়ে তোলা। তিনি আরও বলেন, ‘‘বহু বাইবেল এবং কোরান থাকা বাড়ি পুড়ে গেছে। লাল বাড়িটি পুড়েনি, কারণ ছাদটি সম্ভবত মেটালের ছিল।’’
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি, লন্ডনে চলছে চিকিৎসা
তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘ধর্মগ্রন্থ ফায়ারপ্রুফ নয়। বিশ্বাস না হলে, কোরান বা বাইবেল নিজে আগুন দিয়ে দেখুন, তা পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।’’তসলিমার এই পোস্টে কিছু মন্তব্যকারীরা সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘‘মানুষ যদি বুঝতে পারত, ধর্ম আফিমের মতো মানুষের বোধ-বুদ্ধি লোপ করে দেয়।’’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘‘যদি ওই লাল বাড়ি পুড়ে যেত, তারা তখন বলত, গোটা এলাকায় কোরান-বাইবেল না থাকার কারণেই সব পুড়ে গেছে।’’এই মন্তব্য এবং তসলিমার বিরোধী বক্তব্যগুলি ধর্মীয় গোড়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর এক বার্তা পাঠাচ্ছে, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।