ব্যুরো নিউজ, ১ ডিসেম্বর : শীতকাল মানেই ফল-সবজির ভরা মৌসুম। এর মধ্যেই অন্যতম স্বাস্থ্যকর একটি সবজি হলো মিষ্টি আলু। এটি ইংরেজিতে Sweet Potato নামে পরিচিত। মিষ্টি আলুতে পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি৬ এর মতো পুষ্টি উপাদান থাকে। শীতে এটি শরীর গরম রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ত্বকের সমস্যার মতো অনেক রোগ থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক।
মিষ্টি আলু খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

১. হজমশক্তি উন্নত করে
মিষ্টি আলুতে থাকা ফাইবার হজমশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি এবং পেট ব্যথার মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে। শীতকালে নিয়মিত ১-২ টুকরো মিষ্টি আলু খেলে হজমজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
২. ত্বকের শুষ্কতা দূর করে
শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়ায় ত্বক শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। মিষ্টি আলুতে থাকা ভিটামিন এ, সি ও ই ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের বলিরেখা রোধ করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
৩. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
মিষ্টি আলুতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এর ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করে, যা হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
৪. আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে
মিষ্টি আলু আয়রনের ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। এটি শরীরে শক্তি বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। আয়রনের অভাবে যাদের দুর্বলতা বা ক্লান্তি হয়, তারা নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে উপকার পাবেন।
শীতের জন্য সবথেকে উপকারী এবং স্বাস্থ্যকর শাক হল লাল পালং ,শরীরের কি কি উপকার করে জানেন ?
৫. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী
মিষ্টি আলুতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি এবং গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। বিশেষ করে সাদা খোসাযুক্ত মিষ্টি আলু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। এটি ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
মিষ্টি আলু কেন খাওয়া জরুরি?
মিষ্টি আলু শীতকালীন খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি সহজলভ্য ও পুষ্টিকর। নিয়মিত এটি খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে শরীর উষ্ণ থাকবে, ত্বক ভালো থাকবে, আর হজম ও রক্তচাপের মতো সমস্যাগুলোও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। তাই শীতে পুষ্টির গুণে ভরপুর মিষ্টি আলু খান এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখুন।