ব্যুরো নিউজ,১৪ জুলাই: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছিল বিজেপি। রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু রাজ্য প্রশাসন সেখানে বসার অনুমতি দেয়নি। ১৪৪ ধারা জারি করা থাকে, এই যুক্তি দেখিয়ে শুভেন্দুর ধর্না কর্মসূচি বাতিল করা হয়। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে অন্য দিন বা অন্য কোনো জায়গা দেখার কথা বলেন বিচারপতি। কিন্তু রাজভবনের সামনেই ধর্না অবস্থান করতে চান বলে জানান বিজেপির তরফে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
লাগবে না কোনো পরীক্ষা, বেতন প্রায় ৭০ হাজার, আবেদন করলেই চাকরি দিচ্ছে টাটা
২১ শে জুলাই তৃণমূলের পাল্টা কি কর্মসূচি বিজেপির?
আর এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রবিবার ৪ ঘন্টা ধর্না অবস্থান করলেন শুভেন্দু অধিকারী।অর্জুন সিং,মামনি দাস সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ভোট পরবর্তী হিংসায় যারা আক্রান্ত সেই সমস্ত দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে রাজভবনের সামনে ধর্না মঞ্চ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। শুভেন্দু জানিয়েছেন,২১শে জুলাই বেলা ১টায় যখন ধর্মতলায় সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা শুরু করবেন, ঠিক সেই সময় রাজ্যের সমস্ত থানার সামনে বিজেপির নেতাকর্মীরা গণতন্ত্র হত্যা দিবস কর্মসূচি পালন করবে।
নয়া ইতিহাস গড়লেন নরেন্দ্র মোদী, পিছিয়ে পড়লো বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতারা
এই কর্মসূচিতে সমস্ত থানার সামনে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হবে। সম্প্রতি মেয়র ফিরহাদ হাকিমের একটি বিতর্কিত মন্তব্যকে ঘিরেই তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে বিজেপি। শুভেন্দু ধর্না মঞ্চ থেকে বলেন, ২৩ এর পঞ্চায়েতে ১ কোটি লোককে ভোট দিতে দেয়নি। ২৪এর লোকসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের কার্যতঃ বেঁধে রাখা হয়েছিল। তারপর ৪টি উপনির্বাচনেও হিন্দুদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। তাই ২১ জুলাই রাজ্যের সর্বত্র বেলা ১টায় গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে রাস্তায় নামার আবেদন করেন অ্যাসেম্বলির অপোজিশন লিডার শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও প্রাক্তন বিচারপতি এবং তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপির ৮ জন সাংসদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে বাংলার আইন-শৃঙ্খলার অবনতির পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার জন্য সময় চাইবেন বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু।