ব্যুরো নিউজ, ২০সেপ্টেম্বর :লাইভ স্ট্রিমিংয়ের প্রসঙ্গ নিয়ে চলছে নানা টানাপড়েন, তার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক হওয়ার ঘটনায় নিয়ে শুরু হয়েছে এক নতুন বিতর্ক । সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, হ্যাকড হওয়া চ্যানেলে সম্প্রতি আমেরিকার ‘রিপল ল্যাবস’ নামে একটি সংস্থার ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত বিজ্ঞাপনী ভিডিও প্রচারিত হচ্ছে। শুক্রবার এই চ্যানেলটি হ্যাকড হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
উৎসবের রঙে রূপমের নতুন গান ‘নৌকা বিলাসী’
ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক
কলকাতার রাস্তার বেহাল দশা যানজট ও দুর্ঘটনার মুখে পথযাত্রীরা
হ্যাকড চ্যানেলে সম্প্রচারিত ভিডিওটির শিরোনাম ছিল ‘ব্র্যাড গার্লিংহাউস রিপল রেসপন্ডস টু দ্য এসইসি’র ২ বিলিয়ন ডলার ফাইন! এক্সআরপি প্রাইস প্রেডিকশন’। সাধারণত এই ইউটিউব চ্যানেলটি গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোর শুনানির সরাসরি সম্প্রচার করে, যেমন সম্প্রতি আরজি কর মামলার শুনানি যা প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
হ্যাকিংয়ের ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি সূত্র বার অ্যান্ড বেঞ্চ-কে জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ইউটিউব চ্যানেলের লিঙ্ক আপাতত নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর আরজি কর মামলার শুনানি চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন যে, শুনানির সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করা হোক। তবে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি।
অপহরণ ও তোলাবাজির অভিযোগে তৃণমূল কাউন্সিলর মিলন সর্দার গ্রেফতার, তৎপর সিআইডি
প্রধান বিচারপতি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ‘সুনির্দিষ্ট শুনানির সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করা যাবে না। এটি একটি জনস্বার্থ মামলা এবং ‘ওপেন কোর্ট’-এ শুনানি হচ্ছে’।কপিল সিব্বল দাবি করেন, ‘বাইরে বিষয়টি অন্যভাবে বলা হচ্ছে। মামলার সঙ্গে যুক্ত মহিলা আইনজীবীরা হুমকি পাচ্ছেন’।তার যুক্তি ছিল, সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ না করলে আইনজীবীদের সম্মান এবং নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।
গ্লোবাল এনার্জি পার্লামেণ্টের অধিবেশনে এস সোমনাথ
উল্লেখযোগ্য যে, আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের সময়ও সরাসরি সম্প্রচারের বিষয়টি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আন্দোলনরত চিকিৎসকরা দাবি করেছিলেন, বৈঠকের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সরাসরি সম্প্রচারের প্রয়োজন। কিন্তু প্রশাসন সেই দাবি মানেনি, ফলে পরপর দু’বার বৈঠক ভেস্তে যায়। পরে অবশ্য লাইভ স্ট্রিমিং ছাড়াই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক হওয়া এবং লাইভ স্ট্রিমিং সংক্রান্ত বিতর্ক দেশের বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন সৃষ্টি করেছে।