ব্যুরো নিউজ,১৮ মার্চ : বিজ্ঞানীরা এবার একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। তারা প্রথমবারের মতো আলোকে একটি “সুপারসলিড” অবস্থায় রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছেন, যা একসঙ্গে কঠিন এবং তরল গুণাবলী ধারণ করে। এর আগে, পরমাণু স্তরে সুপারসলিড তৈরি করা সম্ভব হলেও, এবার প্রথমবারের মতো আলো এবং পদার্থকে একত্রিত করে এই সুপারসলিড তৈরি করা হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, এই আবিষ্কার পদার্থবিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলো বুঝতে নতুন পথ খুলে দিতে পারে।
আইপিএল ২০২৫ অক্ষর পটেলের অধিনায়কত্বে দিল্লি ট্রফি জিতবে, বিশ্বাস পোড়েলের
সুপারসলিড তৈরতে আলো এবং পদার্থের মিশ্রণ
সুপারসলিড এমন একটি অবস্থায় থাকে যেখানে কণাগুলো একটি নির্দিষ্ট স্ফটিক গঠন ধরে রাখে, তবে একই সময়ে তারা তরলটির মতো প্রবাহিত হতে পারে। এর মানে হলো, এটি সাধারণ কঠিন বা তরল বস্তু থেকে অনেক আলাদা। সুপারসলিডের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর ভিসকোসিটি (আভ্যন্তরীণ ঘর্ষণ) থাকে না, অর্থাৎ এটি খুব সহজেই প্রবাহিত হতে পারে। এটি এমন এক ধরনের পদার্থ যা কিছুটা তরল এবং কিছুটা কঠিনের মতো আচরণ করে, তবে কোনো ঘর্ষণ ছাড়াই।
আইপিএল ২০২৫ কলকাতা নাইট রাইডার্স এর অধিনায়কত্ব কার হাতে যাচ্ছে জানুন
সুপারসলিড তৈরি করতে অত্যন্ত কম তাপমাত্রার প্রয়োজন, যা সাধারণত শূন্যের কাছাকাছি (-273.15° C) থাকে। উচ্চ তাপমাত্রায় কণাগুলো অনেক বেশি শক্তি পায়, ফলে তারা সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করতে পারে না। কিন্তু যখন তাপমাত্রা অত্যন্ত কমে যায়, তখন কণাগুলো তাদের সর্বনিম্ন শক্তির অবস্থানে চলে যায় এবং কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের নিয়ম অনুযায়ী আচরণ শুরু করে। এই সময়ে, কণাগুলো তাদের গতি এবং গঠন পরিবর্তন করে, যাতে তারা একে অপরের সাথে আরও সুসংগঠিত হয়।
আইপিএলে দেওয়া যাবে না, এই ধরনের বিজ্ঞাপন কেন্দ্রীয় শাস্ত্র মন্ত্রকে চিঠিতে হতাশ বিসিসিআই
এই নতুন সুপারসলিড তৈরি করতে বিজ্ঞানীরা আলো এবং কোয়ান্টাম কণাকে একত্রিত করেছেন, যা “পোলারিটন” নামে পরিচিত। এটি আলো এবং পদার্থের মিশ্রণ, এবং এটি পদার্থবিজ্ঞানের নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন করতে সাহায্য করছে। এই পোলারিটন কণা আলোর এবং পদার্থের গুণাবলীকে একত্রিত করে, যা পদার্থের ভৌত গঠন এবং তার আচরণের নতুন ধারণা প্রদান করে।এটি শুধু পদার্থবিজ্ঞানের জন্য নয়, ভবিষ্যতে বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে। কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, সুপারকন্ডাক্টর, ঘর্ষণহীন লুব্রিক্যান্ট এবং আরও অনেক প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এই সুপারসলিডের গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণাগুলোর মিথস্ক্রিয়া বোঝার জন্য সহায়ক, যা আমাদের মহাবিশ্বের মৌলিক গঠন এবং কণার আচরণ সম্পর্কে নতুন ধারণা দিতে পারে।এই নতুন আবিষ্কারকে পদার্থবিজ্ঞানের ভবিষ্যত হিসেবে দেখা হচ্ছে, এবং এটি বিজ্ঞানীদের জন্য নতুন পথ উন্মোচন করবে, যার মাধ্যমে তারা আমাদের মহাবিশ্বের গভীরে প্রবেশ করতে সক্ষম হবে।
