ব্যুরো নিউজ,১৮ মার্চ : গোটা বিশ্ব আজ সুনীতা ও বুচের নিরাপদ ফেরার জন্য উৎকণ্ঠিত। এক এক মুহূর্ত যেন এক এক ঘণ্টার মতো লাগছে! সবার একটাই প্রার্থনা, সুনীতা এবং বুচ নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসুন। কিন্তু, তাঁদের এই দীর্ঘ ১৭ ঘণ্টার যাত্রাপথে কী কী বিপদাপন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে, সেটাও সকলের মনে কৌতূহল তৈরি করেছে।
মহাকাশ থেকে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু সুনিতার : কারা কারা আসছেন?
মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করা তেমন সহজ নয়।
ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে, স্পেসএক্সের ড্রাগন যান আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। সওয়ারি ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী নভশ্চর বুচ উইলমোর। ন’মাস ধরে মহাকাশে কাটানোর পর অবশেষে পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দিলেন তাঁরা। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার জন্য মহাকাশযানটি ফ্লরিডার উপকূলে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বুধবার ভোরে, ভারতীয় সময়।
কোন সমুদ্রে আছড়ে পড়ছে সুনিতার মহাকাশযান? ফেরা নিয়ে কোন রহস্য দানা বাঁধছে? জানুন বিস্তারিত
নাসা সোমবার সকাল থেকে এই মহাকাশযানটির অবতরণ প্রক্রিয়া সরাসরি সম্প্রচার করছে। রবিবার স্পেসএক্সের ড্রাগন যান আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছেছিল। তারপর মঙ্গলবার, সুনীতা এবং বুচ ড্রাগন যানে উঠে পড়েন, এবং সেই সময় থেকেই শুরু হয় আন ডকিং প্রক্রিয়া। ভারতে সকালে সাড়ে ১০টার কিছু পরে (ভারতীয় সময়), ড্রাগন যানটি আইএসএস ছেড়ে পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা হয়।মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করা তেমন সহজ নয়। মহাকাশযানটিকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের আগে তার ডানা খুলে ফেলতে হবে। এরপরে, যানের একটি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, তারপরই এটি তীব্র তাপ থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারবে, কারণ ড্রাগনের বিশেষ তাপ ঢাল খুলে যাবে, যা সুনীতা এবং বুচকে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা করবে।
সুনিতা ও বুজকে ফেরাতে মহাকাশচারী crew 10 মিশনে কারা কারা অংশ নিলেন
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর, ড্রাগন যানটি তার গতিকে কমিয়ে ফেলবে এবং চারটি প্যারাশুট খুলে যাবে। প্যারাশুটগুলি পৃথিবীর দিকে অবতরণের সময় যানের গতি কমাতে সাহায্য করবে। তারপর, সমুদ্রের উপর নির্ধারিত জায়গায় যানের অবতরণ হবে, যেখানে বিশেষ জাহাজ এর উদ্ধার কাজ করবে। এই জাহাজই ড্রাগন যানটিকে উপকূলে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।সব কিছু যদি সঠিকভাবে চলতে থাকে, তবে ভারতীয় সময় রাত ৩টা ২৭ মিনিটে সুনীতা ও বুচ পৃথিবীর মাটি ছুঁয়ে পৌঁছাবেন। সবার আশা, এই কঠিন যাত্রা সফলভাবে শেষ হবে এবং সুনীতা ও বুচ নিরাপদে আমাদের কাছে ফিরে আসবেন।