ব্যুরো নিউজ,১ মার্চ :শিলিগুড়িতে শুক্রবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দার্জিলিং জেলার সাংসদ রাজু বিস্ত, এবং শিল্প মহলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। শুক্রবার চেন্নাই থেকে বিমানে করে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছান সুকান্ত মজুমদার। এরপর তিনি মাটিগাড়ায় সাংসদ রাজু বিস্তের আবাসস্থলে বৈঠকে যোগ দিতে রওনা হন।
সাদা বলের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন ইংল্যান্ডের জস বাটলার
নাম কেটে দেওয়া হচ্ছে?
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি দাবি করেন, আগামী ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় কিছু মানুষকে চক্রান্ত করে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সুকান্তের অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রী হিন্দু ভাষাভাষী ভোটারদের তালিকা থেকে নাম কাটানোর চেষ্টা করছেন। বিশেষত, যারা বাঙালি হিন্দু নন, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা, তাদের নাম কেটে দেওয়া হচ্ছে।
এদের মধ্যে শিলিগুড়ি, হুগলি, হাওড়া, শ্রীরামপুরসহ বিভিন্ন স্থানে যারা বসবাস করছেন, তাদের ‘বিহারি’ বা ‘উত্তরপ্রদেশি’ তকমা দিয়ে নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত চলছে।”সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, “ভোট আসছে দেখে এই ধরনের কার্যকলাপ শুরু হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অগণতান্ত্রিক। আমরা সকল ভোটারদের অনুরোধ করছি যে, যখন ভোটার তালিকা সংশোধন হবে, তখন তারা নিজে গিয়ে দেখে নেবেন তাদের নাম রয়েছে কি না। ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটানো একটি গুরুতর ব্যাপার, আর এটি কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।”
বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান ম্যাচ, সেমিফাইনালে স্মিথরা
এই বক্তব্যের মাধ্যমে সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তার দাবি, ভোটের আগে এসব কার্যকলাপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং জনগণের আস্থা হারানোর জন্য এমন কৌশল নেওয়া হচ্ছে। এখন সবার নজর থাকবে, কীভাবে এই অভিযোগের তদন্ত হয় এবং ভোটার তালিকায় পরিবর্তন আসার পর জনগণের প্রতিক্রিয়া কী হয়।