ব্যুরো নিউজ,২৬ নভেম্বর:তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ছিল, তিনি হাসপাতালের সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি থেকে বিভিন্ন কিট বাইরের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাচার করতেন এবং রোগীদের শয্যা পাইয়ে দেওয়ার নামেও আর্থিক লেনদেন চলত। এর পর, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে মেডিক্যাল কলেজ স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সদস্যরা অভিযোগটি অধ্যক্ষের কাছে জমা দিয়েছিলেন।
আদানির ১০০ কোটি টাকার অনুদান নিতে অস্বীকার তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর
‘ক্লিনচিট’
এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটি অভিযোগকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল এবং সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ না পাওয়ার কথা জানিয়েছে। হাসপাতালের বর্তমান অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সব জিনিসপত্রের হিসেব রাখা হয় এবং সেখানে কোনও গরমিল পাওয়া যায়নি। তাই এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
ভারতের সংবিধানঃ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও জটিল সংবিধানের ১০টি চমকপ্রদ তথ্য
এছাড়া, এর আগেও সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত করেছিল। সিবিআই তার বাড়ি ও নার্সিংহোমে তল্লাশি চালায় এবং তার মেয়েকেও জেরা করে। পাশাপাশি, ইডি-ও হুগলি জেলায় তার বাংলোতে অভিযান চালায়। তবে এখন, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের তদন্ত কমিটি সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও প্রমাণ পায়নি, এবং তাকে ‘ক্লিনচিট’ দেওয়ার সিদ্ধান্তে নিয়েছে।