ব্যুরো নিউজ,৫ নভেম্বর:রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি হাওড়ার শিবপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আবারও এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মন্তব্য করেছেন। তিনি ভাষাগত ও জাতিভিত্তিক বিভাজনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বলেছেন, ‘হিন্দি আর বাংলা বলতে পারি, কিন্তু উর্দু আর বাংলা কেন নয়? যখন ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি হয়, তখন হিন্দুদের জাতিভিত্তিক জনগণনা করার দাবি ওঠে। অথচ, শিয়া এবং সুন্নি ভাগ করতে চায় না?’ শুভেন্দু অধিকারী তার ভাষণে আরও বলেন, ‘দেশবিরোধী শক্তি হিন্দুদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। তাই সনাতনীরা একজোট থাকবেন, বিভাজিত হবেন না।’
বিজেপি সদস্য না হলে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মেলা যাবে না? সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যে বিতর্ক
ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতি
এদিনের বক্তব্যে শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘আমরা ভাষা, ধর্ম, খাদ্য বা পোশাক নিয়ে স্বাধীনভাবে আমাদের জীবনযাপন করতে পারি, কিন্তু জাতীয়তাবাদ ও ভারতীয়ত্বের বিরুদ্ধে কোনো প্রচার মেনে নেওয়া হবে না।’ তিনি কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অখণ্ডতা নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেন এবং বলেন, ‘ভারতীয় নাগরিক হিসেবে কেউ কাশ্মীর চাহিয়ে আজাদি চাইলে সেটা কখনই মেনে নেওয়া হবে না। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’ এই প্রসঙ্গে, শুভেন্দু অধিকারী কলকাতার রোটারি সদনে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যের বিভিন্ন নাট্যদলের কেন্দ্রীয় অনুদান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলেন।
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মল্লিকার্জুন খাড়গের চ্যালেঞ্জঃ আসল সমস্যাগুলি নিয়ে কথা বলুন
তার মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের মূল লক্ষ্য হলো, যেসব প্রচারণা জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, সেগুলোকে সহ্য করা যাবে না।শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তার ভাষায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন তৈরি না করে একজোট হওয়া উচিত, যাতে তারা বৃহত্তর শক্তি হিসেবে দাঁড়াতে পারে। এই বক্তব্য রাজ্যের রাজনীতি এবং সাম্প্রতিক সময়ের ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির নানান দিককে নতুন করে সামনে এনে দিয়েছে।