ব্যুরো নিউজ,২৬ আগস্ট:পথে নেমে এসেছে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রতিবাদ চলছে আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় নেমে এসে মিছিলে স্লোগান তুলছে। এবার সেই মিছিলে এসে এক তৃণমূল নেতাকে ‘দাদাগিরি’ করতে দেখা গেল। তবে শেষ পর্যন্ত ফিরে যেতে হয় ওই নেতাকে।
কীর্তিমান পুলিশের কান্ড দেখুন!আরজি কর প্রতিবাদ মিছিলেই মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ
কি বলেছেন ওই তৃণমূল নেতা?
টার্গেট পূরণ না হওয়া পর্যন্ত লড়াইয়ের ময়দানে একযোগে বিজেপি, নয়া ঘোষণা পদ্মশিবিরের
হুগলির আরামবাগের মাধবপুর পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা এটি।রবিবার দুপুরে কানপুরের কৃষ্ণবাটি বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশনের ৬০ জন ছাত্রছাত্রী কানপুর গ্রাম থেকে পান্ডুগ্রাম পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হয়। সেই মিছিলে আরজি করের জন্য ন্যায্য বিচার দাবি করছিল তারা। পড়ুয়াদের স্লোগান ছিল, জাস্টিস ফর আরজিকর। আর এরপরেই তাল কাটে কানপুর বাজারে মিছিল আসার সময়। হঠাৎ সেই মিছিলের সামনে উদয় হন স্থানীয় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মলয় চক্রবর্তী। মিছিলের ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, স্লোগানে কেন আর জি কর বলা হচ্ছে শুধু? স্লোগান বদলাতে হবে। পাল্টা ছাত্র-ছাত্রীরা ওই নেতাকে জানায়, নিজেদের ঘর থেকেই প্রতিবাদ শুরু করতে চায় তারা। এই রাজ্যের বাসিন্দা তারা। তাই আরজিকর নিয়েই প্রতিবাদ করবে। এরপরে বচসা হলে পুলিশ আসে। ওই তৃণমূল নেতার সামনেই পড়ুয়ারা স্লোগান তোলেন, জাস্টিস ফর আরজিকর। বাধ্য হয়েই ফিরে যায় ওই তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি।
RG Kar case:মিলেছে রহস্যের সূত্র?অ্যাকশন মোডে সাতসকালেই সন্দীপের বাড়িতে সিবিআই, শহরজুড়ে তল্লাশি
এই প্রসঙ্গে অবশ্য পরে তৃণমূল নেতা মলয় দাবি করেছেন, কোনো বাধা দিইনি। ছেলেমেয়েদের বলছিলাম, তোরা শুধু আরজি কর নিয়ে বলছিস কেন? মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, বিহারেও একই ঘটনা ঘটেছে। সব কটা নাম জুড়ে জাস্টিস ফর ইন্ডিয়া বলতে হবে। ওরা রাজি না হওয়ায় চলে যাই। এই প্রসঙ্গে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন সিবিআইয়ে বাধা নেই। মুখে বলছেন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা নেই। আর তার দলের নেতারা প্রতিবাদ মিছিলে এসে বাধা দিচ্ছেন। তবে সমস্ত মানুষ এবার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন।