ব্যুরো নিউজ,৩ অক্টোবর:বুধবার পে লোডারের ধাক্কায় নবম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে বাঁশদ্রোণী এলাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তীব্র উত্তেজনা চলেছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ছাত্রের মৃত্যুর পর থেকে কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারকে এলাকার কোথাও দেখা যায় নি। রাস্তা্র বেহাল অবস্থা থাকায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভে নেমে পড়েছেন।বিক্ষোভ চলাকালীন, পাটুলি থানার ওসিকে আটকে রাখা হয়। কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রদীপ ঘোষাল ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভের মুখোমুখি হন। বিকেলে কলকাতা পুলিশের ডিসি বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পুলিশ ধরপাকড় শুরু করে।
বিজেপি নেত্রীর থানায় ধর্নাঃ ছাত্রের মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তাল বাঁশদ্রোণী
কাউন্সিলর অনিতার দেখা মেলেনি
কিন্তু, সকাল থেকে রাত হয়ে গেলেও কাউন্সিলর অনিতাকে এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। ইতোমধ্যে পাটুলি থানায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বিজেপি নেত্রী রুবি মণ্ডলসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।এদিকে, বুধবার রাতে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা থানায় জড়ো হন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে । বাইরে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। তাদের দাবি, অভিযোগ ছাড়াই রুবি মণ্ডলকে আটক করা হয়েছে, অথচ ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের কেউ এখনও গ্রেফতার হয়নি।রূপা স্পষ্ট জানিয়েছেন, “আমি রাতটা থানাতেই থাকব। সকাল থেকে অভিযুক্তদের ধরতে পারেনি পুলিশ। যতদিন না অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, ততদিন আমি এখানে বসে থাকব।” বিজেপির দাবি, পে লোডারে ছাত্রের মৃত্যুর পর ক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন রুবি।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়ার হত্যাঃ রহস্যময় ঘটনার খোঁজে সিবিআই
এই ঘটনার পর থেকে রাস্তার অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পাটুলি থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখোমুখি হন। অভিযোগ, ছাত্রটি যখন কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিল, তখন রাস্তার খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছিল এবং একটি জেসিবি তাকে ধাক্কা মারলে সে গাছের সঙ্গে পিষে যায়।কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “নিকাশি ব্যবস্থার কাজ চলছে। এই কাজে সময় লাগে। ঘটনাটি দুঃখজনক। আমরা মৃতের পরিবারের পাশে আছি এবং চাই যে এমন ঘটনা আর না ঘটুক।”