ব্যুরো নিউজ, ২৮ মে : আগামী ১ জুন সপ্তম অর্থাৎ শেষ দফার নির্বাচন। বিষ্ণুপুর লোকসভা আসনে ষষ্ঠ দফায় নির্বাচন হয়েছে। অন্যদিকে ওই কেন্দ্রে নির্বাচন শেষে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ তুললেন বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং বিষ্ণুপুর থানার আইসি-র বিরুদ্ধে।
চিন্তা বাড়ছে কেজরিওয়ালের! ১ জুনের পড়েই কি ফিরতে হবে তিহাড়ে?
কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে মোটা টাকার রফা পুলিশের!
এই প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁর অভিযোগ, বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং বিষ্ণুপুর থানার আইসি মোটা টাকা দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কিনে নিয়েছে। শুধু তাই নয় স্ট্রংরুমের দরজা ভেঙে তারা বিষ্ণুপুর কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইভিএম বদলানোরও চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ তুলেছেন সৌমিত্র খাঁ।
অন্যদিকে স্ট্রংরুম সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার অধীনে থাকার কথা, সেখানে রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরা কীভাবে চলে গেলেন সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। পাশাপাশি বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্ট্রংরুমের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানদের সঙ্গে মোটা টাকার রফা করেছেন বলে মোবাইলে তোলা একটি ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে দাবি করেন সৌমিত্র খাঁ। এমনকী স্ট্রংরুমের সিসিটিভি ফুটেজ সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ তুলেছেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ।
‘রাজ্য পুলিশ যে ওখানে গিয়েছে সেটা আমাদের ছেলেরা দেখতে পেয়েছে। তারা আমায় খবর দেয়। ওদের মোবাইলে তোলা ফুটেজে আমি দেখতে পাই ইভিএম রুমের দরজার সামনে মাসুদ হাসান ও অন্যান্য পুলিশরা। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী বসে মদ আর মাংস খাচ্ছে। আমরা তৃণমূলকে ভয় পাই না। ভয় আমাদের এই দলদাস পুলিশকে নিয়ে। আর কিছুক্ষণ দেরি হলেই পুলিশ দরজা ভেঙে ইভিএম বদলে দিত।’ বলে দাবি বিদায়ী বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর। বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কমিশন।
