ব্যুরো নিউজ,মার্চ ১২ : বর্তমানে চুল পড়ার সমস্যায় আমরা সকলেই কম বেশি ভুক্ত ভোগী। চুল পড়ার সমস্যা নানা কারণে হয়ে থাকে তারমধ্যে একটি কারণ হল ধূমপান এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকরা। ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব আমরা অনেকেই জানি। ফুসফুসের ক্ষতি, হৃদরোগের ঝুঁকি, এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা তো রয়েছেই। তবে, জানেন কি অতিরিক্ত ধূমপান আপনার চুলের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে? একাধিক গবেষণা দেখিয়েছে যে, অতিরিক্ত ধূমপান করলে চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিশেষত ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে যারা নিয়মিত সিগারেট বা বিড়ি সেবন করেন, তাদের চুল ঝরতে থাকে। বিশেষত, যারা দিনে ১০টি বা তার বেশি সিগারেট খান, তাদের চুল পড়ে এবং চুলের স্বাস্থ্যও দুর্বল হয়ে পড়ে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা ।
সকালের জলখাবারে স্বাস্থ্যকর কোন খাবার রাখবেন, কোনটা এড়াবেন? জানুন
সিগারেটের মধ্যে থাকা নিকোটিন চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের ঘাটতি ঘটায়
এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে “জার্নাল অফ কসমেটিক ডার্মাটোলজি”তে। গবেষকদের মতে, সিগারেটের মধ্যে থাকা নিকোটিন রক্তের মধ্যে মিশে গিয়ে রক্তজালিকা সংকুচিত করে দেয়। ফলে রক্ত ও অক্সিজেনের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, যা চুলের গোড়ায় অক্সিজেনের ঘাটতি ঘটায় । এ কারণে চুলের গোড়া আলগা হয়ে পড়ে এবং চুল পড়া শুরু হয়।এছাড়া সিগারেট এবং বিড়ির মধ্যে রয়েছে প্রায় ৭,০০০ বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান, যেমন আর্সেনিক, অ্যামোনিয়া, ডিডিটি, অ্যাসিটোন, ক্যাডমিয়াম, এবং নিকোটিন। এই রাসায়নিকগুলি রক্তে মিশে শরীরের অন্যান্য অঙ্গে পুষ্টির প্রবাহে বাধা দেয়, যার ফলে টক্সিন জমে গিয়ে প্রদাহ সৃষ্টি করে। শরীরের পিএইচ ভারসাম্যও পরিবর্তিত হয়, যা ত্বক ও চুলের ক্ষতি করে। এর ফলে চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়।একটি আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে সিগারেটের রাসায়নিক উপাদান শরীরে ডাইহাইড্রোটেস্টোস্টেরন (ডিএইচটি) হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে, যা টাক পড়ার সমস্যার কারণ হতে পারে। এই সমস্যাকে বলা হয় ‘অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেসিয়া’, যা সাধারণত পুরুষদের মধ্যে দেখা যায়, তবে মহিলাদের মধ্যেও এটি হতে পারে।
চলুন ঘুরে আসি কলকাতার একদম কাছে ‘মন্দির শহর’ কালনা থেকে
ধূমপান ছাড়ানো সহজ নয়, তবে কিছু বিকল্প উপায় ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন, তামাক সেবনের ইচ্ছা হলে আপনি ভেষজ চা খেতে পারেন। অশ্বগন্ধা গুঁড়ো দিয়ে তৈরি চা খাওয়ার অভ্যাস ধূমপান ছাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া, মুখে কিছু আদা কুচি বা শুকনো আমলকি বা জোয়ান রাখা যেতেও পারে, যা ধূমপান ত্যাগে সাহায্য করতে পারে।
একঘেয়ে রান্না ছেড়ে বানান চিলি ফুলকপির এই রেসিপিটি। একবার খেলে আঙুল চাটতেই থাকবেন
তাহলে, ধূমপান শুধু আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং এটি আপনার চুলের জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকারক। সুতরাং, ধূমপান ত্যাগ করতে পারলে আপনার চুলও আরও সুন্দর ও স্বাস্থ্যবান থাকবে।