ব্যুরো নিউজ ৭ নভেম্বর : পশ্চিমবঙ্গের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা করতে গিয়ে রোগীদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি একবারই দিতে হবে, এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। এতদিন পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীরা বিভিন্ন মেয়াদে বারবার রেজিস্ট্রেশন ফি দিতেন। কোনও কোনও হাসপাতালে এই ফি ছ’মাসের জন্য, কোথাও বা মাত্র সাত দিনের জন্য কার্যকর ছিল। তবে এখন থেকে কোনও নির্দিষ্ট মেয়াদ ছাড়াই, একবারই এই ফি ধার্য করা যাবে।
বায়ুদূষণ রুখতে ধাপায় বড় মাপের বায়ো-সিএনজি প্ল্যান্টের উদ্যোগ কলকাতা পুরসভার
সব বেসরকারি হাসপাতালকে মানতে হবে নির্দেশ
সম্প্রতি শেক্সপিয়ার সরণীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে দেবব্রত চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ অতিরিক্ত আড়াইশো টাকা দিতে বাধ্য হন। প্রশ্ন তুলে তিনি রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তার এই অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশনের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়। কমিশনের প্রশ্ন ছিল, কেন এই ফি বারবার ধার্য করা হচ্ছে। এর উত্তরে হাসপাতাল জানায়, তারা রোগীদের জন্য বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করে থাকে যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বাথরুম, হুইল চেয়ার ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা, এবং এগুলোর খরচ মেটাতেই ফি ধার্য করা হয়েছে।তবে কমিশনের চেয়ারম্যান তথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এ ধরনের অতিরিক্ত ফি বারবার নেওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রথমবার রোগীর জন্য একটি ইউনিক পেশেন্ট আইডি তৈরি করা হয়, যা দিয়ে রোগীর তথ্য সংরক্ষিত থাকে। ফলে বারবার রেজিস্ট্রেশন ফি নেওয়ার যৌক্তিকতা নেই। কমিশনের বক্তব্য অনুযায়ী, এই ফি একবারই নেওয়া উচিত । বারবার ফি নেওয়ার দরকার নেই।
বেঙ্গালুরুর রাস্তায় শ্লীলতাহানির শিকার সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার, অভিযুক্ত ১০ বছরের বালক
এই সিদ্ধান্তে কিছু বেসরকারি হাসপাতাল দ্বিমত প্রকাশ করেছে। মিন্টো পার্ক এলাকার এক হাসপাতালে রেজিস্ট্রেশন ফি সাত দিনের জন্য নির্ধারিত থাকে।ই এম বাইপাস সংলগ্ন কাদাপাড়া এলাকার এক হাসপাতাল “লাইফটাইম ফি” বলে দাবি করলেও সেটি আদতে এগারো বছরের জন্য কার্যকর। কমিশনের নির্দেশ মেনে চলা সকল বেসরকারি হাসপাতালের জন্য আবশ্যক করা হয়েছে। এর ফলে রোগীদের ওপর অর্থনৈতিক চাপ কমবে।