ব্যুরো নিউজ,১৮ সেপ্টেম্বর:রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, “আজ প্রধান বিচারপতি বলেছেন, রিপোর্ট পড়ে আমরা স্তম্ভিত। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসলে বিপর্যয় ঘটবে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই সময় সরে যেতে হবে।” আরজি কর কাণ্ডে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির সময় মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠককে ‘সমঝোতা’ হিসেবে উল্লেখ করেন শুভেন্দু।
শুভেন্দু অধিকারীর আক্রমণ: নতুন পুলিশ কমিশনারকে নিয়ে অভিযোগ
সত্যি কি শাস্তি পেলেন তারা?
নন্দীগ্রামে সাংবাদিকদের সামনে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্তা ও পুলিশ আধিকারিকদের বদলির ক্ষেত্রে কি কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? এতে তো স্পষ্ট যে মুখ্যমন্ত্রী তাদের পুরস্কৃত করেছেন।” তিনি বলেন, “বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ও মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠককে যদি তুলনা করেন, তাহলে বুঝবেন তিনি এতটুকুও অনুতপ্ত নন।”শুভেন্দুর মতে, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “আমি স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তাকে সরিয়ে দিচ্ছি,” কিন্তু এর অর্থ হচ্ছে তারা দোষী নন। বরং মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাদের সমান মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করা হবে। “এটি শাস্তি নয়, বরং তারা প্রাইজ পোস্টিং পেয়েছেন,” বলেন শুভেন্দু। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বিনীত যেটা চেয়েছে সেটা দেব। এটা কি শাস্তি?”
জুনিয়র ডাক্তারদের নতুন পদক্ষেপ: মুখ্যসচিবের কাছে ইমেল
শুভেন্দু অধিকারী প্রধান বিচারপতির মন্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, “যেদিন রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসবে, তখন সত্যি সত্যিই বিপর্যয় হবে।” তিনি রাজ্য সরকারের আইনজীবীর লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ করার প্রচেষ্টাকেও সমালোচনা করেছেন, বলছেন, “কী ভয় আপনার? মা-বোনেরা কি দেখছে না? এখানে আন্দোলনকারী জনগণ শাস্তির দাবি করছে, অথচ সুপ্রিম কোর্টে ২১ জন আইনজীবী দাঁড়িয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।জএই অভিযোগগুলির মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের কার্যকলাপ ও নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, যা আগামী রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।