ব্যুরো নিউজ, ২১ জুন : লোকসভা নির্বাচন শেষ হলেও এখনও ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। অন্যদিকে এই ভোট পরবর্তী হিংসায় ‘আক্রান্ত’ ব্যক্তিদের নিয়ে রাজভবনে গেলে পুলিশের কাছে ঢুকতে বাধা পান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গে জানাতে চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। যদিও সেদিন অনুমতি না পেলেও পরে একদিন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভোট পরবর্তী অশান্তির প্রসঙ্গে রাজ্যপালকে অবগত করেন শুভেন্দু অধিকারী।
‘অপরাধী নিষ্কৃতি পাবে না’, হুঁশিয়ারি শিক্ষামন্ত্রীর
কোন জায়গায় মিলবে অনুমতি, জানা যাবে আগামী মঙ্গলবার
তবে প্রথম দিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে বাধা পেয়ে সেদিনই রাজভবনের সামনে ধরনায় বসতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও রাজভবনের বাইরে ধরনায় বসার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। যেহেতু সেখানে ১৪৪ ধারা জারি তাই পুলিশি অনুমতি মেলেনি। যদিও প্রশাসনের তরফে অন্য জায়গায় ধরনায় বসার কথা বলা হয় বিজেপি নেতৃত্বকে। কিন্তু বিজেপি সেই প্রস্তাব মানতে চায়নি। এরপর তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়।
বিজেপির আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, গত বছর অক্টোবর মাসে তৃণমূলের এক নেতা রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন। অন্তত ৫ দিন ধরে তারা ধর্নায় বসেছিলেন। তখন কেন রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের তরফে আপত্তি জানানো হয়নি। সেই প্রশ্নের উত্তরে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, তৃণমূল ধরনায় বসেছিল বলেই যে বিজেপিকে ধরনায় বসার অনুমতি দিতে হবে বিষয়টা কিন্তু তেমন নয়। ২১ জুনের মধ্যে বিজেপিকে বিকল্প জায়গায় নাম জানাতে বলেছিল আদালত। সেই মতো এবার বিকল্প জায়গার কথা জানালো গেরুয়া শিবির। যদিও ভবানীভবন নাকি নবান্নে ডিজি দফতরের সামনে ধরনায় বসবে সেই নিয়ে এখনও পরিষ্কারভাবে কিছু জানানো হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টে আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এখন দেখার ধরনায় বসার জন্য কোন জায়গার অনুমতি পায় বিজেপি।