ব্যুরো নিউজ,১৪ অক্টোবর:জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রসঙ্গে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র কিঞ্জল নন্দের বক্তব্যে কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। শ্রীলেখা লিখেছেন, “কিঞ্জলের এখনও ওই অরাজনৈতিক বিষয়টা কানে লাগলো… খানিক অবাক হলাম, হালকা বিরক্ত হলাম… এখনও?” তিনি উল্লেখ করেন, অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, কিন্তু আন্দোলনের প্রবলতা কিছু কমেনি।সম্প্রতি, ৭ দিন ধরে চলা এই আন্দোলনে ডাক্তার অনিকেত এবং অলোক ভার্মার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে শুরু থেকেই সমর্থন জানিয়ে আসা শ্রীলেখা, সম্প্রতি ধর্মতলায় গিয়ে কিঞ্জলের বক্তব্য শুনে হতাশ হয়েছেন।
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সমর্থনে ২৪৭ বিজ্ঞানীর চিঠি
আন্দোলন কি আসলে অরাজনৈতিক হতে পারে?
কিঞ্জল বলেছিলেন, “আমাদের এই আন্দোলন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, যারা এটাকে রাজনৈতিক রঙে রাঙানোর চেষ্টা করছে, তাদের WBJDF-কে তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি।” এই বক্তব্যে শ্রীলেখার আপত্তি রয়েছে। তিনি ফেসবুকে লেখেন, “কিঞ্জলের বক্তব্যে আমি কিছুটা হতাশ। কোনো আন্দোলন কি আসলে অরাজনৈতিক হতে পারে?” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “কে জানে কম বুঝি আজকাল হয়ত। কারুর সংগ্রামকে অপমান করছি ভেবে বসবেন না যেন!” শ্রীলেখার পোস্টে অনেকেই সমর্থন জানিয়ে মন্তব্য করেছেন। একজন লেখেন, “যে কোনো আন্দোলন রাজনৈতিক দিশা ছাড়া দিশাহীন।” আরেকজনের মতে, কিঞ্জল হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন যে দলে-দলে রাজনীতি নয়, কারণ শাসক সবসময় এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক রং দিতে চায়।
আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতির তদন্তঃ সন্দীপ ঘোষের সম্পত্তি নিয়ে জটিলতা
এরপর, দশমীর সন্ধ্যায় শ্রীলেখা ডাঃ মানস গুমটার একটি বক্তব্য শেয়ার করেন, যেখানে বলা হয়েছে, “বৃহত্তর লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আমাদের এই বিতর্ক সরিয়ে রাখতে হবে।” তিনি বিশ্বাস করেন, সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বর্তমানে রাজপথে প্রবাহিত হচ্ছে এবং এটি গণতান্ত্রিক চেতনার একটি অভূতপূর্ব উদাহরণ।শ্রীলেখা সহমত পোষণ করে জানিয়েছেন যে এই মুহূর্তে সবচেয়ে আগে আরজি করের নির্যাতিতার বিচার এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে থ্রেট কালচারের অবসান হওয়া উচিত।