ব্যুরো নিউজ,২৬ নভেম্বর:করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর এবার পুরনো উৎসাহে ফিরতে চলেছে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। এবার মেলা হবে ৬ দিন ধরে, যা আগের মতোই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর, পূর্বপল্লীর মাঠে পৌষমেলা হলেও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বা শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের কোনও ভূমিকা ছিল না, এটি ছিল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে। তবে এবারে, মেলা আয়োজনের দায়িত্ব আবারও হাতে নিয়েছে বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।
লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের মগজধোলাইয়েই বাবাকে খুন করল শিব কুমার গৌতম
জেলা প্রশাসন পূর্ণ সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত
সোমবার শান্তিনিকেতনের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির কনফারেন্স হলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে, জেলা ও রাজ্য প্রশাসন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের শেষে, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, এবার পৌষ উৎসব সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে। আগের চেয়ে আরও ভালো করতে হবে। আমরা প্রশাসনিকভাবে সবরকমের সহযোগিতা দেবো।বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয় কুমার সোরেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে, জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ, বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এতদিন মেলা বন্ধ থাকার কারণ ছিল বিশ্বভারতীর কিছু অংশের অবিচার। তবে বর্তমান উপাচার্য ভাল মানুষ, তিনি ঐতিহ্যের সঙ্গে আপোষ করবেন না। জেলা প্রশাসন পূর্ণ সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।
বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের উদ্যোগঃ আলু-পেঁয়াজের দাম এখনও উচ্চতর, তবে দাম কমছে আনাজের
মেলার মাঠ পরিদর্শন শেষে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, মাঠ পরিষ্কার করার কাজ দ্রুত শুরু হবে এবং স্টল বন্টন প্রক্রিয়া শুরু হবে। এবছর, অনলাইনে স্টল বুকিংয়ের সুবিধাও থাকবে, যার জন্য কর্তৃপক্ষ শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।এবারের পৌষমেলা হবে আরও বড় এবং আকর্ষণীয়, এবং এটি পর্যটকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হয়ে উঠবে। জেলা প্রশাসন এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে, শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা সাফল্যের সঙ্গে উদযাপিত হবে।