ব্যুরো নিউজ,১১ জানুয়ারি:হিন্দু ধর্মে প্রদোষ উপবাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি তিথি হিসেবে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে শিবপুরাণে এর বিশেষ তাৎপর্য বর্ণিত হয়েছে। প্রতি মাসের ত্রয়োদশী তিথিতে এই উপবাস পালন করা হয়, যা মাসে দুবার আসে। প্রদোষ উপবাস পালন করলে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং শান্তি আসে বলে বিশ্বাস করা হয়। ধর্মীয় মতে, এই দিনটি ভগবান শিবের পুজো ও উপবাসের জন্য বিশেষ শুভ দিন হিসেবে পরিগণিত হয়। যারা এই উপবাস পালন করেন তারা শিবের আশীর্বাদ লাভ করেন এবং সকল দুঃখ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পান।
শনি ও শুক্রের সমন্বয়ে ধন-সম্পদ লাভের সুযোগ।৩ টি রাশির উপর বিশেষ প্রভাব।এখুনি জানুন কোন কোন রাশি
শনি প্রদোষ উপবাসের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিকার এবং পদ্ধতি
এই বছরের প্রথম শনি প্রদোষ উপবাস ২০২৫ সালের ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এটি শনিবার পড়ে, তাই একে শনি প্রদোষ উপবাস বলা হয়। ১১ জানুয়ারি সকাল ৮টা ২১ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং ১২ জানুয়ারি সকাল ৬টা ৩৩ মিনিটে শেষ হবে।
১. শিবলিঙ্গে অভিষেক: এই দিনে গঙ্গাজল, দুধ এবং মধু দিয়ে শিবলিঙ্গে অভিষেক করুন। শিবকে বেলপত্র এবং ধুতরা নিবেদন করলে তিনি অত্যন্ত খুশি হন এবং শনিদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
২. জাফরান অর্পণ: শিবলিঙ্গে জাফরান অর্পণ করলে ঘর থেকে দারিদ্র্য দূর হয় এবং পরিবারের সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
৩. কালো তিল ও সরিষার তেল দান: এই দিনে কালো তিল এবং সরিষার তেল দান করলে দুর্ভাগ্যকে সৌভাগ্যে রূপান্তরিত করা যায় এবং শনিদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
৪. দরিদ্রদের দান: দরিদ্রদের খাদ্য, বস্ত্র বা অর্থ দান করলে জীবনে সুখ, শান্তি এবং সৌভাগ্য আসে।
২০২৫ সালে শনি-মীন রাশির পরিবর্তন।কোন কোন রাশির জন্য সমস্যা আসতে চলেছে? এখুনি জানুন
৫. ঋণ মুক্তি: শিবলিঙ্গে গঙ্গাজল এবং গোটা চাল নিবেদন করলে ঋণ মুক্তি পাওয়া যায় এবং সম্পদের অধিকারী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
৬. ব্যবসায় অগ্রগতি: শনি প্রদোষ ব্রতের দিন ভগবান শিবের পুজো শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার সঙ্গে করলে ব্যবসায় অগ্রগতি আসে।
৭. নীল রঙের গুরুত্ব: শনি দেব নীল রঙ পছন্দ করেন, তাই এই দিনে নীল পোশাক পরুন এবং নীল ফুল অর্পণ করুন। এর ফলে শনিদেব খুশি হন এবং শুভ ফল প্রদান করেন।
শনি প্রদোষ উপবাস, শনিদোষ এবং জীবনের সমস্যাগুলি দূর করার একটি অতি শক্তিশালী উপায়। এই দিনে শিবের পুজো, উপবাস এবং দান একজন ব্যক্তির জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এবং শুভ ফল নিয়ে আসে।