ব্যুরো নিউজ ৩০ সেপ্টেম্বর : সদ্যোজাত দ্বীপ বললেও অত্যুক্তি হয় না। ১৯৬৩ সালে সমুদ্রের আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে উত্তর অতলান্তিক মহাসাগরে একটি নতুন দ্বীপ তৈরি হয়, যার নামকরণ করা হয় ‘সার্ৎস’, আইসল্যান্ডের পৌরাণিক কাহিনির দৈত্য ‘সার্তার’ নামে। এই ক্ষুদ্র দ্বীপটি আইসল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত এবং এর আয়তন মাত্র তিন বর্গ কিমি। জন্মের সময় দ্বীপটির উচ্চতা ছিল ৯৫০ ফুট, তবে ভূমিক্ষয়ের ফলে বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০৫ ফুট।
পারিবারিক ঐতিহ্যঃ উদয়নিধি স্ট্যালিনের উপমুখ্যমন্ত্রী পদের অধিকার
কি বলছে বিজ্ঞানীরা জানলে চমকে উঠবেন
এই দ্বীপটি আইসল্যান্ডের উপকূল থেকে প্রায় ৩২ কিমি দূরে অবস্থিত এবং ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে পরিচিত। সার্ৎসের জন্মের খবর পাওয়ার পর সেখানে হাজির হন ভূতাত্ত্বিক ও জীববিজ্ঞানীরা। তাঁরা এখানে একটি গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলেন।শুরুতে এই দ্বীপে প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল না এবং সবুজের ছোঁয়া ছিল না। বিজ্ঞানীরা শুধুমাত্র এখানে পা রাখার অনুমতি পেতেন। কিন্তু একদিন তাঁরা সার্ৎসে এসে দেখলেন, পাথুরে আগ্নেয় শিলার ফাঁকে উঁকি মারছে সবুজ পাতা। এটি দেখে বিজ্ঞানীরা বিস্মিত হন, কারণ তাঁরা ভাবতে পারেননি যে সদ্য জন্মানো দ্বীপে গাছপালা জন্মাতে পারে।
মোহনবাগানের ইরান যাত্রা স্থগিত হল অনিশ্চয়তার কারণে
একজন উদ্ভিদ পরিবেশবিদ, অগস্ট বিয়র্নসন, যখন এই দ্বীপে পা রাখেন, তখন তিনি আসল রহস্য খুঁজে বের করেন। তিনি দেখতে পান, গাছটির মাটির নীচে মানব পূরীষ রয়েছে। অর্থাৎ, দ্বীপে আসা কোনও গবেষক অসাবধানবশত মলত্যাগ করার ফলে টম্যাটোর বীজ মাটিতে পড়ে গিয়েছে এবং সেখান থেকেই গাছটি জন্ম নিয়েছে।বর্তমানে সার্ৎস দ্বীপে অসংখ্য গাছ এবং ৩৩৫টির বেশি অমেরুদণ্ডী প্রাণী বাস করছে। বিজ্ঞানীদের গবেষণার জন্য এখানে বাইরের মানুষের প্রবেশ নিষেধ, যাতে এই বিশেষ পরিবেশ রক্ষা করা যায়।