ব্যুরো নিউজ,২৬ নভেম্বর:প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে এবার গ্রেফতার হলেন সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়।তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত।জানা গেছে, সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের বেহালায় রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা রয়েছে।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন এবং বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতির টাকা সংগ্রহ করতেন।প্রসঙ্গত,২৫ নভেম্বর শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আরেক ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।অর্পিতা কিছুদিন আগে প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন মায়ের মৃত্যুর জন্য। এরপর তিনি জামিন পেয়েছেন।আর অর্পিতার জামিন পাওয়ার দিনেই সিবিআই গ্রেফতার করেছে সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়কে, যিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।
কলকাতা হাইকোর্টে পুলিশের নির্যাতন নিয়ে তদন্তে নতুন দিক
চলমান অভিযানের অংশ
সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের মে মাসে সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। এছাড়া, ইডি-ও তার বাড়িতে তল্লাশি করেছে। সিবিআই অভিযোগ করেছে, সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের মাধ্যমে কুন্তল ঘোষকে ২৬ কোটি টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল এবং তিনি এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। এই টাকার মধ্যে বেশ কিছুটা নিয়োগ দুর্নীতির অর্থ ছিল।সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আরও একটি গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে, বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা তার কাছে জমা পড়েছিল। এর আগে, সিবিআই কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সন্তুর নাম জানতে পারে। এরপর সিবিআই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তার ভিত্তিতে গ্রেফতার করে।
বাংলাদেশের নতুন শিক্ষাবর্ষে যোগ হতে চলেছে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও রাজনৈতিক পরিবর্তন
অপরদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভা এলাকা বেহালায় সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের রিয়েল এস্টেট ব্যবসা রয়েছে। তার সঙ্গে কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগাযোগের তথ্যও উঠে এসেছে।অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তে সিবিআই ও ইডি যৌথভাবে কাজ করছে। ২০২২ সালের জুলাই মাসে, পার্থ ও অর্পিতার বাড়িতে একযোগে তল্লাশি চালায় ইডি। সেই সময়ে, অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে ২১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।এখন, সিবিআই তদন্তে নতুন তথ্য আসার কারণে সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি ঘটল। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, এটি একটি বড় পদক্ষেপ, যা রাজ্যের শিক্ষানীতি ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।