ব্যুরো নিউজ ,২৫ ডিসেম্বর:সান্তা ক্লজকে চিনতে আমাদের কোনো ভুল হয় না। একমুখ দাড়ি-গোঁফ, হাসিমুখ, এবং লাল পোশাকে সেজে তিনি বড়দিনের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। কিন্তু, এক সময় সান্তার চেহারা এবং পোশাক ছিল একেবারেই আলাদা। সান্তা প্রথমে ছিলেন রোগা, পাতলা, সবুজ বা বাদামি পোশাক পরা এক চরিত্র। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সান্তার চেহারা এবং পোশাক বদলেছে। এই পরিবর্তনটা মূলত দুইটি কারণে হয়েছে—‘কোকা-কোলা’ এবং কার্টুনশিল্পী থমাস নাস্টের কল্পনাশক্তির জন্য।
জিঙ্গল বেলস ক্রিসমাসের চিরন্তন সুরের উৎস, কিন্তু এই সুরের সৃষ্টি কিভাবে হল জানেন কি?
পরিবর্তন
১৯৩১ সালে কোকাকোলা কোম্পানি তাদের বিজ্ঞাপনে সান্তাকে মোটা এবং লাল পোশাক পরিয়ে উপস্থাপন করে। কোম্পানির লক্ষ্য ছিল কোকাকে শুধুমাত্র গরম কালের পানীয় হিসেবে নয়, বরং সারাবছর ব্যাপী জনপ্রিয় করতে। এই বিজ্ঞাপনেই প্রথম সান্তার দেহের আকার এবং পোশাকের পরিবর্তন ঘটে। এরপর থেকেই সান্তার এই নতুন চেহারা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং আজকের সান্তা ক্লজের পরিচিতি তৈরি হয়।তবে শুধু কোকাকোলার বিজ্ঞাপন নয়, সান্তার এই পরিবর্তনের পিছনে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন থমাস নাস্ট, যিনি আমেরিকান কার্টুনের জনক হিসেবে পরিচিত। তিনি সান্তাকে প্রথম লাল পোশাকে কল্পনা করেছিলেন এবং তার চেহারাও খানিকটা নাদুসনুদুস পেটমোটা করে চিত্রিত করেছিলেন। নাস্টের তৈরি সান্তার ছবি পরবর্তীতে কোকাকোলার বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত হয় এবং সেই থেকেই সান্তার এই চেহারা পৃথিবীজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
২০২৫ সালে গুরু পুষ্য যোগ কবে? জানুন শুভ সময় ও এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব
সান্তা ক্লজের চেহারা এবং পোশাকের পরিবর্তন কেবল একটি চরিত্রের পরিবর্তনই নয়, বরং সময়ের সাথে সাথে মানুষের চিন্তাধারা, বিজ্ঞাপন এবং সৃষ্টিশীলতার এক মজাদার মিশ্রণ। আজকের দিনে, সান্তার চেহারা এবং পোশাকের আদলে কোটি কোটি মানুষের মন জয় করেছে।