ব্যুরো নিউজ, ২২ জানুয়ারি:প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের তিন নম্বর সেলের আবাসিক সঞ্জয় রায়, যিনি সম্প্রতি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, আপাতদৃষ্টিতে কোনও পরিবর্তন নেই তার হাবভাবে। আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপ বা পুলিশদের সঙ্গে কথাবার্তার মধ্যে তাকে দেখে বোঝা যেত না তার জীবনে কি কঠিন পরিবর্তন এসেছে। তার জীবনে একাধিক ঘটনাবলী ঘটে গেলেও, সঞ্জয়ের আচরণ ছিল একদম নির্বিকার। কারাগারে তার মধ্যে কোনও ধরনের মানবিক আবেগের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।সঞ্জয়ের প্রতি সপ্তাহে একদিনেই তার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পেয়েছিল। রবিবার দুপুরে, যখন তার সম্ভাব্য ফাঁসি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল, সে জানায়, “আমি নির্দোষ। আমার আইনজীবী সব দেখবেন।
পতৌদি পরিবারের ১৫,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি কি সরকারের হাতে চলে যাবে? হাইকোর্টের রায়ের পর নতুন জটিলতা
দিনমজুরির কাজে নিয়োগ করা হবে
আমার কোনো প্রভাব বা টাকা-পয়সা নেই, আমি আর কী করতে পারি?” তবে, সাজা ঘোষণার পর তার কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। কারারক্ষীদের মতে, সঞ্জয়ের এই নির্বিকার আচরণ তার নিষ্ঠুর প্রকৃতিকে প্রকাশ করে, এবং তার মধ্যে যেন কোনো আবেগের প্রকাশ নেই।সঞ্জয়ের সঙ্গে আরও কিছু দিন কথা বলার পর, তার কথাবার্তা থেকে মনে হয়, সে একেবারে ঠাণ্ডা মনের মানুষ। কারাগারে থাকাকালীন, কখনও তার সঙ্গে কথাবার্তা হতে দেখা যায়নি। শুধু খাবার খাওয়ার সময়ে কিছু কথা বলার চেষ্টা করেছে। প্রথমে কিছুটা হইচই করার পর, সে নিজেকে গুটিয়ে নেয়। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও খুব কমই হয়, এবং জেলের ক্যান্টিনে কখনও সে কিছু কেনে না। কারারক্ষীদের মতে, সঞ্জয় এতটাই শান্ত যে তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখাও বেশ কঠিন।জেল সূত্রে জানা গেছে, সঞ্জয়কে এখন দিনমজুরির কাজে নিয়োগ করা হবে।
দেবকে নিয়ে মন্তব্য শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের: ‘লাভার বয় ইমেজ থেকে বেরিয়ে আসছে’
যদিও লেখালিখি করার ক্ষেত্রে তার কোনো আগ্রহ নেই, তবে বাগানে কিছু কাজের জন্য তাকে প্রস্তুত করা হতে পারে। সঞ্জয়ের কাজের জন্য প্রতিদিন ১১০ থেকে ১৩৫ টাকা মজুরি নির্ধারিত হবে। তার আচরণ ও কাজের ভিত্তিতে, সংশোধনাগারের নিয়ম অনুসারে তার আচরণ রেকর্ড করা হবে এবং নথিভুক্ত করা হবে।সঞ্জয়ের যাত্রা এখন এমন এক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে একদিকে তার অপরাধের শাস্তি এবং অন্যদিকে তার নির্বিকার মনোভাব, সেগুলো একে অপরকে চ্যালেঞ্জ করছে। কারাগারে তার সময় কাটছে শান্ত, নিঃসঙ্গ, এবং অস্থিরতার মধ্য দিয়ে। তার ভবিষ্যত এখনও অন্ধকার, এবং তার জীবন কোন পথে যাবে তা সময়ই বলে দেবে।