ব্যুরো নিউজ,২১ নভেম্বর:উত্তর হাওড়ার সালকিয়া উড়ালপুল প্রকল্প দীর্ঘ ৩৪ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি, যদিও ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের জন্য খরচ হয়েছে অন্তত পাঁচ কোটি টাকা। যেসব তরুণ ব্যবসায়ী পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তারা এখন বৃদ্ধ, কিন্তু প্রকল্পের কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ১৯৯০ সালে হাওড়া পুরসভা সালকিয়া উড়ালপুল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়, যার উদ্দেশ্য ছিল উত্তর হাওড়ায় যানজট কমানো। কিন্তু সেই সময় থেকে জমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন নিয়ে সমস্যার শুরু হয়। ব্যবসায়ীরা কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন এবং তাদের দাবি ছিল, এমন জায়গায় পুনর্বাসন দেওয়া হোক, যেখানে ব্যবসা চালানো সম্ভব হবে।
আর জি কর হাসপাতালের খুন-ধর্ষণ মামলায় ফরেন্সিক সাক্ষ্যগ্রহণ, তদন্তে কি নতুন মোড়?
আইনি জটিলতায় প্রকল্পের কাজ আটকে
এরপর হাওড়া উন্নয়ন সংস্থা বা এইচআইটি প্রকল্পের দায়িত্ব নিলেও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুনর্বাসনের জায়গা নিয়ে মতপার্থক্য থাকায় তারা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সীতানাথ বসু লেন থেকে শ্রীরাম ঢ্যাং রোডের মধ্যে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। তবে, তার পরেও প্রকল্পটি থমকে যায়। সীতানাথ বসু লেনে কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা ৬৪টি ফ্ল্যাট।সেটা আজও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কেএমডিএ কর্তৃক অধিগ্রহণ করা দোকানগুলি এখন ভগ্নপ্রায়, মালিকরা সেগুলি মেরামত করতে পারছেন না এবং যে কোনও সময় সেগুলি ভেঙে পড়তে পারে।
কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে গার্ডরেল বসানোর উদ্যোগে নয়া সমস্যা
কেএমডিএ সূত্রে জানা যায়, উড়ালপুল তৈরির প্রাথমিক খরচ ৬৯ কোটি টাকা ছিল, কিন্তু বর্তমানে সেই খরচ অনেক বেড়ে গেছে। বাম শাসনকালে এই প্রকল্প থেমে গেলেও, ২০১৪ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উদ্যোগে সালকিয়া এলাকায় পুনর্বাসন প্রকল্পের শিলান্যাস হয়। তবে, বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজ আটকে গেছে।উত্তর হাওড়ার বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী বলেন, আমরা চাই, এই উড়ালপুল তৈরি হোক। কিন্তু কিছু দোকানের আইনি জটিলতায় প্রকল্পের কাজ আটকে গেছে। এই উড়ালপুল তৈরি হলে উত্তর হাওড়ার মানুষ উপকৃত হবে।