লাবনী চৌধুরী, ৬ এপ্রিল: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। ভোট ময়দানে নিজের মাটি শক্ত করতে প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। তবে প্রচার শুরুর দিন থেকেই নানা বিতর্ক শুরু হয়েছে তাকে ঘিরে। ২৩ মার্চ শনিবার শিবলিঙ্গে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলা এলাকায় প্রচার করেন সায়নী ঘোষ। তার তা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। একটা সময় শিবলিঙ্গে কন্ডোম পরানো ছবি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন সায়নী ঘোষ। আর এবার শিবলিঙ্গে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করতেই বিজেপির কটাক্ষের মুখে পড়েন সায়নী।
এরপর গত ২৯ মার্চ বোরাল পোস্ট অফিস, ঠনঠনিয়া মোড় থেকে প্রচার শুরু করেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সায়নী ঘোষ। এক বর্ণাঢ্য রোড শো-এর আয়োজন করা হয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা প্রচার করেন সায়নী। আর সেখানেই সোনারপুর, রাজপুরের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলারা সায়নীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। আর তাতে বেশ অবাকই হয়ে যান সায়নী ঘোষ। পানীয় জল, রাস্তাঘাট, নিকাশি ব্যবস্থা সহ একাধিক বিষয়ে প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীরা। তাদের অভিযোগ, পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। রাস্তাঘাট ভালো নেই। নিকাশি ব্যবস্থা নেই। ড্রেন মজে আছে। পুরসভাকে বারে বারে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। এখন ভোট চাইতে এসেছেন? ভোটের সময় কোনও দলকে ভোট দেব না, দাবি স্থানীয়দের।
ভূপতিনগর কাণ্ডেও ফের একই ‘সাফাই’ মুখ্যমন্ত্রীর
এই বিক্ষোভের সামনে তিনি একপ্রকার চুপ করে যান। পরে সায়নী ঘোষ বলেন, ইতিমধ্যে জল প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। রাস্তা করা হচ্ছে। জলের ব্যবস্থাও করা হবে। ড্রেন পরিষ্কার করে দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন সায়নী। তবে তাতে কতটা চিড়ে ভিজবে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ সায়নী ঘোষের মুখের উপর ভোট দেব না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন স্থানীয়রা।
এরপর ফের কার্যত একই চিত্র সায়নী ঘোষকে ঘিরে। শুক্রবার বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার বৃন্দাখালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দমদমা মাছপুকুর,ঘাটকান্দায় নির্বাচনী প্রচারে যান যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। হুডখোলা লাল জিপের উপরেই ছিলেন সায়নী। আর সেখানে ফের বিক্ষোভের মুখে সায়নী।
টাকফাটা রোদ মাথায় নিয়েই চালাচ্ছেন প্রচার। তার তাকে ঘিরে ভিড়ও সাধারণ মানুষের। সকলের সঙ্গে কথা বলছেন। হাত মেলাচ্ছেন। আর এমনই কয়েকজন মহিলাকে কাছে আসতে বলার পরই একাধিক অভিযোগের মুখে পড়েন সায়নী ঘোষ। তারা রাস্তা, জল নিয়ে একাধিক সমস্যার কথা জানান। অভিযোগ, কিছু হল না রাস্তা ঘাটের। বর্ষাকালে এই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া যায় না। জলের কল নেই। ফলে এই গরমে তাদের জলকষ্টও চরমে। তবে তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ আগামী দিনে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।