ব্যুরো নিউজ , ৬ ফেব্রুয়ারি :বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের উপর গত জানুয়ারি মাসে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ হামলার তদন্তে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। মুম্বই পুলিশ ইতিমধ্যেই এই মামলায় অভিযুক্ত শেহজাদকে গ্রেফতার করেছে, যিনি সাইফের বাড়িতে চুরি করার উদ্দেশ্যে প্রবেশ করেছিলেন। ২৯ জানুয়ারি ভোরে সইফ আলি খানের ফ্ল্যাটে এই হামলার ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শেহজাদ সাইফের বাড়িতে ঢুকে জেহর ঘরে প্রথমে প্রবেশ করে। সেই সময় সইফের ছোট ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আয়া আহত হন। আয়ার চিৎকার শুনে সইফ ও করিনা ছুটে আসেন। এর পর ধস্তাধস্তি শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে হামলাকারী সইফকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
২০২৫ সালে শনির গোচর: কোন রাশির জন্য হবে শুভ, আর কোন রাশির জন্য তৈরি হতে পারে সমস্যা?
বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের
এ ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শেহজাদকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, শেহজাদ বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন এবং মুম্বইয়ের পূর্বে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছিলেন।গত ৩১ জানুয়ারি অভিযুক্তের ফেসিয়াল রিকগনিশন টেস্ট করা হয়, এবং সেই টেস্ট ইতিমধ্যে পজিটিভ এসেছে। গত বুধবার মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে, একজন তহসিলদারের উপস্থিতিতে শেহজাদকে শনাক্ত করা হয়। সইফের বাড়িতে এই সময় উপস্থিত আয়া আরিয়ামা ফিলিপ এবং জুনু, অভিযুক্তকে শনাক্ত করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পরমজিৎ সিং দাহিয়া জানিয়েছেন, অভিযুক্তের আঙুলের ছাপ মেলানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল এবং পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। এ ছাড়া, পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মৌখিক, শারীরিক ও প্রযুক্তিগত প্রমাণ রয়েছে।
মমতার কোপে কি এবার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা?
হামলার পর সইফ আলি খানকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অস্ত্রোপচার করা হয়। ২১ জানুয়ারি তাকে লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছাড় দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলার পর শেহজাদ বাংলাদেশের গ্রামে পালানোর পরিকল্পনা করেছিল, তবে থানে হিরানন্দানি এস্টেটে তাকে আটক করা হয়।এই ঘটনার পর মুম্বই পুলিশ তাদের তদন্তে দৃঢ়ভাবে অগ্রসর হচ্ছে, এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সইফ আলি খান এবং তার পরিবারের জন্য এটি একটি আতঙ্কের মুহূর্ত ছিল, তবে পুলিশ তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।