ব্যুরো নিউজ,৩০ জানুয়ারি :গত ১৬ জানুয়ারি ভোরে সইফ আলি খান এবং তার পরিবারকে একটি মারাত্মক ঘটনা সামলাতে হয়। সইফ আলি খানের বাড়িতে ঘটে যাওয়া হামলার পর গোটা পরিবার এখনও চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। যদিও অপারেশনের পর সইফ এখন অনেকটা সুস্থ, তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে। হামলার পর থেকে সইফের পরিবারকে বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্টের মাধ্যমে আপডেট পেতে হয়েছে।
ঋদ্ধিমান সাহার ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষ অধ্যায়ঃ এক কিংবদন্তির বিদায়
নিষেধাজ্ঞা জারি
সাধারণত ফটোশুট বা ভিডিও তোলার ক্ষেত্রে কোনো বাধা না দিলেও, স্বামী সইফের অসুস্থতার সময় করিনা বারবার পাপারাৎজিদের ফটো তোলার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু করিনার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও, নবাব পরিবারের বাড়ির সামনে পাপারাৎজিদের ভিড় বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, করিনা ও সইফের দুই ছেলের—তৈমুর ও জেহ-এর ছবি তোলাও শুরু হয়। একটি বিশেষ মুহূর্তে, সইফ তাদের জন্য নতুন খেলনা কিনে এনেছিলেন, তার ছবি পাপারাৎজিরাই তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে।
করিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি স্ক্রিনশট নিয়ে লিখেন, “আপনাদের সকলকে বিনীত অনুরোধ, দয়া করে এই ধরনের কভারেজ থেকে বিরত থাকুন। এই কঠিন সময়ে দয়া করে আমাদের একা ছেড়ে দিন।”এখানেই থেমে থাকেননি করিনা। তিনি মুম্বইয়ের সকল পাপারাৎজিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন, যেখানে তিনি বিনীতভাবে অনুরোধ জানান যে এই সময়ে তাদের কোনো ছবি না তোলা হোক এবং তাদের গতিবিধি যেন কেউ জানতে না পারে।
ইলন মাস্কের মহাকাশযানে ফেরানো হবে সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরকে
এই ঘটনার পর, সইফ আলি খানের বাড়ির নিরাপত্তা আরও কঠোর করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পুলিশ কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে এবং সাইফ আলির পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রনিত রায়ের সিকিউরিটি কোম্পানির বডিগার্ডও নিয়োগ করা হয়েছে। গোটা বাড়ি এখন কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে রাখা হয়েছে। হামলার পর গোটা পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, এটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।উল্লেখযোগ্য যে, সইফের বাড়িতে হামলার অভিযোগে পুলিশ এক বাংলাদেশী নাগরিক, শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে গ্রেফতার করেছে। এই ব্যক্তি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং ভুয়ো পরিচয় নিয়ে সেখানে বসবাস করছিল। তবে পুলিশ এখনো তদন্ত করছে, অভিযুক্ত ঠিক কী উদ্দেশ্যে সইফের বাড়িতে ঢুকেছিল।