ব্যুরো নিউজ,৩০ জানুয়ারি :ঋদ্ধিমান সাহা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, এবারের রঞ্জি ট্রফির শেষ ম্যাচটি হবে তার পেশাদার ক্রিকেট জীবনের শেষ ম্যাচ। এই বছর বাংলা দলের রঞ্জি ট্রফির নক-আউটে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শেষ, তাই গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচটি হবে ঋদ্ধির শেষ পেশাদার ম্যাচ। এই ম্যাচে তার প্রতিপক্ষ পঞ্জাব, যা হতে চলেছে তার পেশাদার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
ইলন মাস্কের মহাকাশযানে ফেরানো হবে সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরকে
ক্রিকেট কেরিয়ার
ঋদ্ধিমান সাহার ক্রিকেট কেরিয়ার ছিল একেবারে রাঙানো। ভারতের হয়ে তিনি মোট ৪০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন এবং ৯টি একদিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) ম্যাচ খেলেছেন। টেস্টে তিনি ২৯.৪১ গড়ে ১৩৫৩ রান সংগ্রহ করেছেন, যেখানে ৩টি সেঞ্চুরি এবং ৬টি হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে। তার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১১৭ রান। টেস্ট ক্রিকেটে তিনি ৯২টি ক্যাচ এবং ১২টি স্টাম্প-আউট করেছিলেন।ওডিআইতে তার সংগ্রহ ছিল খুবই কম—৪১ রান। তবে, সেখানে ১৭টি ক্যাচ এবং ১টি স্টাম্প-আউটের কৃতিত্বও রয়েছে। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে, ঋদ্ধি ১৪১টি ম্যাচ খেলেছেন এবং ৪১.৬৮ গড়ে ৭১৬৯ রান করেছেন। এর মধ্যে ১৪টি সেঞ্চুরি এবং ৪৪টি হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে, এবং তার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২০৩ রান (অপরাজিত)। তিনি ৩৪৪টি ক্যাচ এবং ৩৮টি স্টাম্প-আউট করেছেন ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে।
লিস্ট-এ ক্রিকেটে, ঋদ্ধি ১১৬টি ম্যাচ খেলেছেন, ৪০.৪২ গড়ে ৩০৭২ রান সংগ্রহ করেছেন। এছাড়াও ৩টি সেঞ্চুরি এবং ২০টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন, যেখানে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ১১৬ রান। লিস্ট-এ ক্রিকেটে তিনি ১৩৮টি ক্যাচ এবং ১৮টি স্টাম্প-আউট করেছেন।ঋদ্ধিমান সাহার টি-২০ কেরিয়ারও ছিল উজ্জ্বল। তিনি মোট ২৫৫টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন, ২৪.২৪ গড়ে ৪৬৫৫ রান করেছেন, যেখানে ২টি সেঞ্চুরি এবং ২৪টি হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে। তার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১২৯ রান। টি-২০ ক্রিকেটে তিনি ১৪২টি ক্যাচ এবং ৩৯টি স্টাম্প-আউট করেছিলেন।
এক যুগ পর রঞ্জি ট্রফিতে কোহলি, ব্যাটিং অর্ডারে কী হবে?
ঋদ্ধিমান সাহা আইপিএলেও এক কিংবদন্তি। তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্স, চেন্নাই সুপার কিংস, কিংস ইলেভেন পঞ্জাব, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং গুজরাট টাইটানসের হয়ে আইপিএল খেলেছেন। ১৭০টি আইপিএল ম্যাচে ২৪.২৫ গড়ে ২৯৩৪ রান সংগ্রহ করেছেন। আইপিএলে ১টি সেঞ্চুরি এবং ১৩টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন।এখন, ঋদ্ধিমান সাহা তার দীর্ঘ ক্রিকেট জীবনের পর অবসর গ্রহণ করতে চলেছেন, এবং তার এই সাফল্যময় কেরিয়ার সকলের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।