ব্যুরো নিউজ,১২ আগস্ট: শেষ পর্যন্ত চাপের সামনে মাথা নোয়াতে বাধ্য হলেন আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সোমবার সকালেই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তবে ওই একটি কথা, তার সঙ্গে সন্দীপ ঘোষ এটাও জানিয়েছেন, ‘কারো চাপে নয়, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
RG Kar case: কি লুকানোর চেষ্টা?মৃতার মা-র বিস্ফোরক দাবি
ইস্তফার ঘোষণা করে আর কি বললেন অধ্যক্ষ?
প্রথমেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি তুলেছিলেন, সিবিআই তদন্ত করলে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করা সহজ হবে। পাশাপাশি আর জি করের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। তার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত এবং বক্তব্য নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন শুভেন্দু। তার সঙ্গেই আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, প্রিন্সিপালের পদত্যাগ। এবার যা বোঝা গেল, অনেকটা চাপে পড়েই একরকম দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেন আরজি করের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ। ইস্তফা ঘোষণা করে সোমবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অধ্যক্ষ সন্দীপ বললেন, আমার ইস্তফাই ছাত্র-ছাত্রীদের কাম্য ছিল। এবার আশা করবো ছাত্র-ছাত্রী, জুনিয়র চিকিৎসকেরা কাজে ফিরবেন। আমি গত কয়েক দিনে বিভিন্ন মাধ্যমে যে কটুক্তি সহ্য করেছি, আমার পরিবার, সন্তানেরা যা সহ্য করেছে, তাদের বাবা হিসেবে আমি লজ্জিত। তাই পদত্যাগ করলাম। আশা করি আপনারা ভাল থাকবেন।
তবে এখানেই শেষ নয়, অধ্যক্ষের এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রী এবং জুনিয়র চিকিৎসকরা দাবি জানিয়েছেন, প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে লিখিত আকারে পদত্যাগ পত্র জমা দিতে হবে। মুখের কথায় তারা পদত্যাগ মানতে নারাজ। তবে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানালেও আরজি কর কাণ্ডে প্রিন্সিপাল ‘রাজনীতির খেলার’ কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার মুখে কথা বসিয়ে রাজনীতির খেলা চলছে। বিরুদ্ধে গোষ্ঠী রাজনৈতিক খেলায় নেমেছে। আমি এসব খেলা খেলি নি। সরকারি কর্মচারী আমি। ছাত্র-ছাত্রীরা আশা করবো শীঘ্রই কাজে যোগ দেবেন।’