ব্যুরো নিউজ,১১ আগস্ট: আরজিকর হাসপাতালের ট্রেনি মহিলা চিকিৎসককে ‘ধর্ষণ এবং খুনে’ শুধুই কি ওই একজনই জড়িত?, এবার এই প্রশ্ন আরও জোরালো ভাবে উঠতে শুরু করল একটি ভাইরাল অডিও সামনে আসার পরে। আর জি করের নারকীয় কান্ডের পর সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে পরিচিত সঞ্জয় রায়কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আর এরপরে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট সামনে আসায় অনেক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
ভাইরাল অডিও ঘিরে বহু প্রশ্ন
এর পরেই আরজিকর কাণ্ড নিয়ে একটি ভাইরাল অডিও ঘিরে বহু প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আরজিকর হাসপাতালেরই এক ইন্টার্ন ওই ভাইরাল অডিওতে মারাত্মক দাবি করেছেন। অন্য একটি মেডিক্যাল কলেজের পিজিটি ডক্টরের সঙ্গে তার এই ফোনালাপ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ওই ভাইরাল অডিওতে কি বলেছেন আরজিকরের ইন্টার্ন ওই পিজিটিকে, শুনুন:
পিজিটির প্রশ্ন ছিল, আরজি করে কি হয়েছে? ঘটনাটা বল….
জবাবে আর জি করের ইন্টার্ন বলেন, ‘আরজি কর এর পুরো আন্দোলন মেকি। প্রিন্সিপাল এবং তার শাগরেদরা এই আন্দোলন তৈরি করে চালাচ্ছে। উল্টোপাল্টা মন্তব্য করছে। কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ করছে না। আমাদের উপর নির্ভর করে বাইরের লোক এত কিছু করছে, ভালো লাগছে। কিন্তু আমরা নিজেরাই সাসটেইনেবল নই। কালকে একটা ভিডিও এসেছে। একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চেয়েছিল আমরা যাতে ওটা ভুলে যা।ই ওরা তো জানে না,এটুকু আইকিউ রয়েছে, যে এটা ওর পক্ষে করা সম্ভব কিনা। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে যে ইনজুরি রয়েছে দিদির, তাতে একজনের কাজ নয়, কমপক্ষে দুই বা তিনজন জড়িত রয়েছে।
এরপরই পিজিটির প্রশ্ন, কারা হতে পারে? তোরা কি সন্দেহ করছিস?
জবাবে ইন্টার্ন বলেন, দাদা আমরা সন্দেহ করছি এটা ইন্টার্নের কাজ। যে ইন্টার্নের বড় মাপের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। পরিবারের সদস্যরাও যথেষ্ট উচ্চপদস্থ। নাম নিতে পারব না। তাতে আমার সমস্যা হয়ে যাবে।
পিজিটি বলেন, না নাম নিতে হবে না।
Bangladesh Unrest: হাসিনাকে ফেলতে আমেরিকার নীল নকশা!ঘনিষ্ঠ মহলে মুখ খুলেছেন শেখ হাসিনা
এরপরেই আর জি করের ইন্টার্নকে ওই অডিওতে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘খারাপ লাগছে, আমারই ব্যাচমেট এরকম করতে পারে। তাকে নিরাপত্তা দিতেই এই গেম খেলা হচ্ছে। গোটা আন্দোলন কলেজ কর্তৃপক্ষ চালাচ্ছে। একটা খারাপ সময় কেউ যদি তোমার পাশে দাঁড়ায়, সে যখন সরে যায় সবকিছু ভেঙে পড়ে। সেটা হবে, কাল কিংবা পরশুর অপেক্ষা। দাদা, সবার কাছে আমাদের আবেদন, আমাদের উপর নির্ভর করবেন না। সাধারণ মানুষ অন্যান্য কলেজগুলি যেন আমাদের পাশে থাকে। আরজি কর থেকে কিছু আশা করোনা। যেখানে অভিযুক্ত লুকিয়ে রয়েছে, সেখানে আমাদের কিছু আশা করোনা। নিজেদের মতো আন্দোলন করে যাও। আমাদের কথাও শুনোনা।
জেনারেল বডির বৈঠক নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে। প্রিন্সিপাল এসে বলছেন, ওখানে কেন রাতে ঘুমাবে? সেমিনার রুম কি ঘুমানোর জায়গা? যেখানে সিসিটিভি ফুটেজ লোপাট হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ এসে প্রথমে বলছে আত্মহত্যা। যেখানে কাউন্সেলিং কমিটিতে সাইকিয়াট্রিক ডিপার্টমেন্টের প্রধানকে রাখা হয়েছে। এটা প্রমাণ করতে যে, দিদি মনোরোগী ছিল। আমার সঙ্গে অনেকবার দিদির কথা হয়েছিল। দিদি একদম স্বাভাবিক ছিল।
প্রসঙ্গত: আরজিকর কাণ্ডে এই অডিওটি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরেই ট্রেনি তরুণী চিকিৎসকের ‘ধর্ষণ, খুন’ নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। যদিও ইভিএম নিউজের তরফে এই অডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়নি।