ব্যুরো নিউজ,১০ জানুয়ারি:আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিচারপ্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে ১৮ জানুয়ারি রায়দানের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, এই দিনটির ঘোষণা তাঁদের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ, তবে প্রকৃত ‘বিচার’ তখনই পাওয়া যাবে যখন সকল অভিযুক্ত সাজা পাবেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়ের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় হাসপাতালের কিছু ব্যক্তির জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।’’
গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৫ শে ‘সাগর বন্ধু’ নামক উদ্যোগ সরকারের।ভাষাগত সমস্যার সমাধান এতেই
সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট
নির্যাতিতার বাবা আরও জানান, এই মামলায় তাদের সন্দেহের তালিকায় চারজন জুনিয়র ডাক্তার আছেন। তাঁর মতে, ৮ অগস্ট রাতে মেয়ের সঙ্গে যারা উপস্থিত ছিলেন, তাদের নিয়ে তারা ব্যাপক সন্দেহ পোষণ করছেন। তাদের দাবি, ‘‘ডিএনএ রিপোর্ট এবং অন্যান্য প্রমাণ অনুযায়ী, সেখানে মহিলার উপস্থিতিও ছিল।’’ এদিকে, শিয়ালদহ আদালত জানিয়েছে, ১৮ জানুয়ারি রায় ঘোষণা হবে। আপাতত ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা চাওয়া হয়েছে। তবে নির্যাতিতার পরিবার মনে করে যে বিচারপ্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি, তারা মনে করছেন এই মামলার শুরু মাত্র। তারা আশা করছেন, পরবর্তীতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটের মাধ্যমে আরও অভিযুক্তদের সামনে আনা হবে।
আলিপুরদুয়ারের মেচপাড়া চা-বাগান হঠাৎ করে বন্ধ, শ্রমিকরা কর্মহীন
নির্যাতিতার মা বলেন, ‘‘আমরা মনে করি সঞ্জয় দোষী, তবে একা সে আমার মেয়েকে মেরে ফেলতে পারে না। সেই হাসপাতালের কেউ জড়িত আছে।’’ তারা আরও জানান, সিবিআই তদন্তে তারা খুশি নয়। নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘আমরা সিবিআই চায়নি, আমরা ভালো তদন্তকারী সংস্থা চেয়েছিলাম।’’ তবে তারা আদালতের উপর পূর্ণ আস্থা রাখছেন এবং বলেছেন, ‘‘আমরা আদালতের কাছে সব প্রশ্ন রেখেছি।’’ তারা জানিয়েছেন, ‘‘সব অপরাধীকে সাজা দিলে, আমার মেয়ে এবং আমাদের আত্মা শান্তি পাবে।’’ এছাড়া, তারা কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের উপরে তাদের ভরসা রাখছেন, এবং আশা করছেন সেখানে সঠিক বিচার হবে।