ব্যুরো নিউজ,১৫ আগস্ট: আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদে উত্তাল সারা দেশ। কিন্তু আসলে কি ঘটেছিল? কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত? কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে? সেটা এক মহিলা ডাক্তারের ভাইরাল অডিও থেকে প্রকাশ্যে ফাঁস হয়েছে। যা শুনলে একজন মানুষ হিসেবে চমকে যেতে পারেন। যে ডাক্তারদের কাছে চিকিৎসার জন্য মানুষেরা যায়, তাদের একাংশের মধ্যে এই ধরনের চরিত্র.. (যদিও এই ভাইরাল অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ইভিএম নিউজ)
ভারতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা ফক্সকনের। ৪০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা
কি শোনা যাচ্ছে ওই ভাইরাল অডিওতে?
ভাইরাল অডিওতে এক মহিলা ডাক্তারের ভয়েস মেসেজে যা শোনা যাচ্ছে, তা হল– “এত কষ্ট হচ্ছে ভিতরে যে হসপিটালে বসে থাকতে পারছি না। ডাক্তাররা সবাই খুব ডিস্টার্বড। শুনে বিশ্বাস করতে কেমন লাগছে রে, আজকে ওপিডি বন্ধ। শুনে অবাক লাগছে, প্রতিটা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালরা বিশেষ করে, ডিপার্টমেন্টাল হেডরাও ছাত্র-ছাত্রীকে পাস করানোর জন্য রীতিমতো টাকা দাবি করে। যে সমস্ত স্টুডেন্ট বা ইন্টার্নরা ভালো করে ক্লাস করে না, পিজিতে থিসিস জমা দিতে হয়, এমবিবিএস ফাইনাল পাস করতে পারবে না। সাপ্লি পাইয়ে দেবে, কমপ্লিশন দেবে না, তা না দিলে রেজিস্ট্রেশন হবে না। আর তার জন্য রীতিমতো ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়”। ভাইরাল অডিওতে এক মহিলা ডাক্তারের এই ভয়েস মেসেজে শুনতে পাওয়া তথ্য আপনাকে কাঁপিয়ে দিতে পারে।
বাজারে এলো রয়াল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ এর আপডেটেড ভার্সন
ওই ভাইরাল অডিওতে ওই মহিলা ডাক্তারকে আরও বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘এর মধ্যে সবথেকে নিকৃষ্টতম প্রিন্সিপাল হচ্ছে সন্দীপ ঘোষ। আরজি করে সন্দীপের একটা নেক্সাস ছিল। যা দিয়ে সেখানে এই র্যাকেটটা চালাতেন। আর সেই র্যাকেটে বেশ কিছু ইন্টার্ন, হাউসটাফ জড়িত’। ওই ভাইরাল অডিওতে মহিলা ডাক্তার বলছেন, ‘সন্দীপ ঘোষের নেতৃত্বে যে Nexus সেখানে একটা সেক্স র্যাকেট এবং ড্রাগ র্যাকেট চলতো। হিরোইন বা ব্রাউন সুগার নয়, কম টাকায় যে ড্রাগ পাওয়া যায় তার কোটি কোটি টাকার টেন্ডার বের হতো। আর সেই টেন্ডার দিয়ে ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিতো.. এই সমস্ত টাকার একটা বড় অংশ হয়ে যেত পার্টি ফান্ডে.. আর তার জন্যই দলের একেবারে শীর্ষ নেতার খুব ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিল এই সন্দীপ ঘোষ।’এমনটাই ওই ভাইরাল অডিওতে মহিলা ডাক্তারের ভয়েস মেসেজ থেকে ফাঁস হচ্ছে। যখন ওই মহিলা চিকিৎসক এর বিরুদ্ধে যাওয়ার কথা বলেন এবং ফাঁস করে দেওয়ার কথা বলেন, তখন তাকে রীতিমতো ধমক দেওয়া হয়। শেষ ছয় মাস ধরে তাকে রীতিমতো হুমকি দেওয়া এবং ভয় দেখানো হয়েছিল।
Paris Olympics :বাবা ক্রিকেটার। ছেলে দুটি সোনার পদক জিতলেন প্যারিস অলিম্পিকে
মহিলা ডাক্তারের ওই ভাইরাল অডিওতে আরো যা তথ্য সামনে ফাঁস হয়েছে, তা রীতিমতো ভয়ংকর। শোনা যাচ্ছে, ‘মেয়েটি খুব ভালো ছিল। লেখাপড়া শিখেই এগোতে চেয়েছিল। কিন্তু যখন ওকে আটকাতে পারেনি ওই দিন রীতিমতো পরিকল্পনা করে ওই সেমিনার রুমে ওই মহিলা চিকিৎসককে একা রেখে এসেছিল।আর বলেছিল ওই ঘরে ঘটনা ঘটছে, কাজ হচ্ছে, ওই ঘরে কেউ যাবে না। যে চারজন ওই মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেছিল, তাতে একজন মেয়েও ছিল বলে অডিওতে জানা যাচ্ছে। তারপর ওই ইন্টার্নরা তার সঙ্গে যে মেয়ে ছিল তারা সাত- আট জন মিলে মদ খেয়ে একসঙ্গে ওই মহিলা চিকিৎসকের উপর সেই রাতে চড়াও হয়। এবং ওর উপরে নৃশংস ভাবে হাত দুটো ধরে রেখে বেঁধে নৃশংস অত্যাচার করেছে.. উল্টোদিক করে শুইয়ে ওই মহিলা চিকিৎসকের উপর দিয়ে বুট পরে হেঁটে যাতায়াত করেছে, মাথাটাকে থেতলে দিয়েছে, তারপরে শ্বাসরোধ করে তাকে মেরে দিয়েছে এবং আরো ভয়ংকর ওই মৃত মানুষকে..যে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে তখন নিচে মদ খাচ্ছিল, ওর চরিত্রে এই ধরনের দোষ আছে, সেটা জেনেই ওকে ওইখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং বলে সেমিনার রুমে তোর জন্য রাখা আছে। কাজ করে দিয়ে আয়.. এবার ও ওই মদ খেয়ে মাতাল হয়ে এসে ওই ডেডবডিকে রেপ করে.. এক কৌশল নিয়েছিল ওই ৭-৮ জন ইন্টার্ন, যাতে এই কেসের মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া যায়।’ এরকম বিস্ফোরক তথ্য শোনা যাচ্ছে ওই মহিলা ডাক্তারের ভাইরাল হওয়া অডিওতে। যা রীতিমতো রাজ্যের মানুষের হাত পা ঠান্ডা করে দিতে পারে। যদিও এই ভাইরাল অডিওর সত্যতা ইভিএম নিউজ যাচাই করেনি।