ব্যুরো নিউজ,১১ আগস্ট: আরজি কর হাসপাতলের ট্রেনি মহিলা চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় ময়নাতদন্তের যে রিপোর্ট সামনে এসেছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে হামলার সময় যে ধরনের প্রতিরোধ করাটা মানুষ হিসেবে স্বাভাবিক, তা নির্যাতিতা করতে পারেননি। আর এই কারণেই তদন্তকারীরা বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে এই অপরাধের বিষয়টি ভাবছেন। ইতিমধ্যেই আরজিকর কাণ্ডে অপরাধী ধরা পড়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত পুলিশ বহু রহস্যের সমাধান করার জন্য তদন্তে সেভাবে এগোতে পারে নি।
Indo Bangladesh border: হিন্দু সেজে ভারতে ঢোকার ব্লু প্রিন্ট জঙ্গিদের, সীমান্তে জারি হাই অ্যালার্ট
আরজি কর কান্ডে বহু প্রশ্ন উঠছে
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই ট্রেনি মহিলা চিকিৎসকের ওপর অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় ঘুমন্ত অবস্থায় হামলা চালায়। আরজি করে যে সেমিনার হলে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটে তা ভোর চারটে থেকে সাড়ে চারটের মধ্যে ঘটেছে। সঞ্জয় যখন হামলা চালায়, ওই চিকিৎসক তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে বলা হচ্ছে, আক্রমণের সময় ওই মহিলার নিজেকে বাঁচানোর জন্য যতটা লড়াই দেওয়া বা প্রতিরোধ করা স্বাভাবিক, তিনি ততটা করতে পারেননি। আর তাই নিয়েই ভাবনায় পড়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। পাশাপাশি আরও একটি বিষয় গোয়েন্দা দপ্তরের অফিসারদের ভাবাচ্ছে, তা হলো, হামলার সময় ওই নির্যাতিত মহিলা চিকিৎসক কি একবারও চিৎকার করতে পারেননি? তার চিৎকার কেউ কি শুনতে পাননি? তাহলে কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেন না কেন?
পৃথিবীর কেন্দ্রে বিন্দুতে কারা থাকে? আপনি কি জানেন
বৃহস্পতিবার গভীর রাতের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় সঞ্জয় রায়, চেস্ট মেডিসিন ওয়ার্ডের মধ্যে দিয়ে সেমিনার হলের দিকে যান। সঞ্জয় কি করে জানল, ঐ চিকিৎসক ওখানেই আছেন? পুলিশের প্রশ্ন, শুধু কি যৌনলালসা মেটানোর জন্যই সঞ্জয় এই ঘটনা ঘটিয়েছিল? এই খুনের ঘটনায় আর কে কে যুক্ত ছিল? সঞ্জয় অনেকদিন ধরেই কি নির্যাতিতাকে লক্ষ্য করেছিল? মনে করা হচ্ছে, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় বেশ শক্তিশালী। তাই নির্যাতিতা সেরকম কোনো প্রতিরোধ করতে পারেননি বলে পুলিশের অনুমান। পি এম রিপোর্টে তরুণী চিকিৎসকের দুই চোখে রক্ত বেরিয়েছে। মুখে, যৌনাঙ্গে ক্ষত ছিল। তাছাড়া পায়ে, হাতে, ঠোঁটে, পেটে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ওই তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। গলার ডান দিকের একটি হাড় ভেঙে রয়েছে বলে জানা যায়। নীল কার্পেটে রক্তের দাগ এবং একাধিক চুল পাওয়া যায়। তবে এই রহস্যের সমাধান করতে গিয়ে পুলিশকে অনেকগুলো বিষয় ভাবাচ্ছে।