আর জি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ৫ অভিযুক্তের জেল হেফাজত

ব্যুরো নিউজ,৭ জানুয়ারি:আর জি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষসহ পাঁচ অভিযুক্তকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালত। সোমবার, অভিযুক্তদের মধ্যে সন্দীপ ঘোষ, তার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সুমন হাজরা, বিপ্লব সিংহ, দেহরক্ষী আশরফ আলি খান এবং জুনিয়র চিকিৎসক আশিস পাণ্ডেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে পেশ করা হয়। তাদের মধ্যে সন্দীপ ও সুমনের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেছিলেন, তবে আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে।

শুক্রের কুম্ভ রাশিতে প্রবেশের ফলে ৫টি রাশির জন্য শুভ। সমৃদ্ধি এবং প্রেমের সুযোগ কোন কোন রাশির জাতক জাতিকাদের দেখে নিন 

অবৈধভাবে গ্রেফতার

সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী ওয়াহাব রউফ আদালতে দাবি করেছেন যে সন্দীপ ঘোষকে অবৈধভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তিনি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। তিনি আরও বলেন, সন্দীপ তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন এবং কোনও প্রকার অবৈধ কার্যকলাপে অংশ নেননি। তবে সিবিআইয়ের আইনজীবী এই দাবি অস্বীকার করে বলেন, “সন্দীপ ঘোষই এই দুর্নীতির মূল চক্রী। তিনি ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে দুর্নীতির টাকা সংগ্রহ করেছেন এবং তা থেকে কাটমানি নিয়েছেন। এছাড়া, অযোগ্য পড়ুয়াদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। সন্দীপ অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি, তাই জামিন মঞ্জুর হলে তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।”অন্যদিকে, সুমন হাজরার আইনজীবী আদালতে বলেন, “সুমন একজন ব্যবসায়ী, তিনি এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। আর জি করসহ অন্যান্য হাসপাতালের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে।” সিবিআইয়ের আইনজীবী তবে সুমনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে বলেন, “সুমন দুর্নীতির চক্রের অন্যতম প্রধান পান্ডা। টেন্ডার দুর্নীতি পুরোপুরি সুমন নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক সাক্ষী রয়েছেন। তাঁর জামিন মঞ্জুর হলে তদন্তে সমস্যা তৈরি হতে পারে।”

আজ পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাষ, শীতের আমেজ বহাল, তাপমাত্রা কমবে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত

এছাড়া, আদালত শুনানি শেষে পাঁচজন অভিযুক্তকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে এই মামলার তদন্ত আরও জোরালোভাবে চলবে এবং ভবিষ্যতে আরও কেউ অভিযুক্ত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন এই মামলার দিকে অনেকের নজর, বিশেষ করে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যে দুর্নীতি কিভাবে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তা নিয়ে। সিবিআই এই মামলার তদন্তে আরও গভীরভাবে প্রবেশ করতে পারে এবং আরও নতুন নতুন তথ্য সামনে আসতে পারে। জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর অভিযুক্তরা আপিল করতে পারেন, তবে আদালত যে দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে যে এই দুর্নীতি মামলাটি বেশ গুরুতর।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর