ব্যুরো নিউজ,১৮ আগস্ট:আরজিকর কাণ্ডে টানা সরকার বিরোধী আন্দোলনে একেবারে কোনঠাসা হয়ে আক্রমণাত্মক অবস্থানে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ প্রশাসনের পাশে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ করছেন। আর তাতেই দল এবং সরকারের অন্দরে তৈরি হচ্ছে একের পর এক সমস্যা। বিভিন্ন সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে।
দল এবং সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে অভিষেকের মত,খবর সূত্রের:
মাঙ্কি পক্স নিয়ে গ্লোবাল এমার্জেন্সি ঘোষনা করল WHO
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় রাজ্য সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারের একের পর এক ভুল পদক্ষেপ নিয়ে দলের অন্দরে চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে অভিষেক মনে করেন, প্রশাসনের শীর্ষস্তরে বদল ছাড়া ‘দল আর সরকারের’ পক্ষে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা যথেষ্ট কঠিন। জানা যাচ্ছে, মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কাজে চূড়ান্ত গাফিলতি চিহ্নিত করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আপাতত এই সব থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অভিষেক ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, সাধারণ সম্পাদক মনে করছেন স্বাস্থ্য প্রশাসনের ভেতরের রাজনীতি এবং সমন্বয়ের অভাবেই একের পর এক ভুল পদক্ষেপ হয়েছে। যার ফলে দল এবং সরকার সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়ে গিয়েছে।
RG Kar case:বাম-রাম জোটের তত্ত্ব মমতার!তবে একাধিক ‘তৃণমূলের ছেলে’পুলিশের জালে
ইতিমধ্যেই বিরোধী আন্দোলনকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বাম- রাম চক্রান্ত’ বলে দেগে দিয়েছেন। আর সেই বিষয়ে উদ্ধৃতি দিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল নেতা কুণাল লেখেন, আমাদেরও কিছু ভুল শুধরে এসব চক্রান্ত ভাঙতে হবে। দল এবং সরকারের এই চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মোকাবিলায় মমতার পাশাপাশি অভিষেকের সক্রিয়তা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রসঙ্গত: আরজিকর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের পরে হাসপাতাল সংস্কার, তড়িঘড়ি প্রিন্সিপালকে ট্রান্সফার নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপকে ঘিরে যে ছাত্র-ছাত্রীদের ভুরিভুরি অভিযোগ রয়েছে, আর সেই সন্দীপকে তাড়াহুড়ো করে ন্যাশনাল মেডিক্যালে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত প্রশাসনের ভুল বলেও উল্লেখ করেছেন কুণাল। এদিকে রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় একের পর এক আরজিকর কাণ্ডে দাবি তুলে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন তৃণমূল এবং রাজ্য সরকারকে।