ব্যুরো নিউজ,২২আগস্ট:আরজিকর কাণ্ডে প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের একাধিক ভূমিকা নিয়ে আদালতও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভুরিভুরি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই সিবিআই প্রায় প্রতিদিন সন্দীপ ঘোষকে ডেকে ম্যারাথন জেরা করছে। এরকম একটা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল পদ থেকে সন্দীপ ঘোষকে সরিয়ে নতুন আরো একটি পদে বহাল করা হলো।
RG Kar case:নড়ে যাবে মমতার গদি!আরজি কর ইস্যুতে টানা আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিজেপি
বিজ্ঞপ্তিতে সরকার কি জানিয়েছে?
RG Kar case:সুপ্রিম নির্দেশ এবং রাজ্যপালের সঙ্গে কথা, কি জানাচ্ছেন নির্যাতিতার বাবা-মা
আরজি করের তরুণী মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পরে থেকে সারাদেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। জুনিয়র চিকিৎসক, ইন্টার্ন, নার্সরা একযোগে প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হন। সেই সময় চাপে পড়ে নিজে থেকেই পদত্যাগ করেন সন্দীপ। কিন্তু তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মমতার সরকার তাকে ফের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল পদে বসিয়ে দেয়। তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই সেখানকার পড়ুয়ারা বিক্ষোভ শুরু করেন। কলকাতা হাইকোর্ট আরজিকর মামলায় সন্দীপকে ছুটিতে যেতে নির্দেশ দেয়। এবার বুধবার রাতে রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানালো, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে সন্দীপ ঘোষকে সরানো হয়েছে। কিন্তু তারপরেই অন্য কোনো কলেজের প্রিন্সিপাল পদ না দিলেও সন্দীপকে নতুন পদ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনে অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (OSD) পদ পেয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। সেই বিজ্ঞপ্তিও ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে, সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
আর আরজি করে সন্দীপ সরে যাওয়ার পর প্রিন্সিপালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সুহৃতা পালকে। তাকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বাস্থ্য ভবন পাঠিয়ে দিয়েছে বারাসাত মেডিক্যাল কলেজে। এই সুহৃতা পালের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠেছে। আরজি করে প্রিন্সিপালের দায়িত্ব নেওয়ার পরে তার স্বচ্ছতা নিয়েও বহু প্রশ্ন উঠে যায়। হাসপাতালে বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছে সুহৃতা পালকে। এবার আরজি করে নতুন প্রিন্সিপাল হলেন মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বারাসাত মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। পাশাপাশি চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ডিপার্টমেন্ট অফ হেড (DOH) অরুনাভ দত্ত চৌধুরীকে উত্তরবঙ্গে বদলি করা হয়েছে। মালদা মেডিক্যাল কলেজের প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। এই চেস্ট মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক এবং ছাত্রী ছিলেন নির্যাতিতা তরুণী। এছাড়াও আরজিকরের এমএসভিপি এবং ডিন অফ স্টুডেন্টসের দায়িত্ব থেকে বুলবুল মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে ফিজিওলজি বিভাগের প্রফেসর হিসেবে রেখে দেওয়া হয়েছে।