ব্যুরো নিউজ,৩০ সেপ্টেম্বর:আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক-পড়ুয়া ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। তদন্তকারীদের মতে, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ কিছু জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ৯ অগস্ট সকাল থেকে যখন এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে, তখন থেকেই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টার চিত্র স্পষ্ট হচ্ছে।
পিতৃপক্ষের দোষ কাটাবেন কি করে? জানেন কি
সেমিনার হলে উপস্থিত কিছু চিকিৎসক
সিবিআই জানিয়েছে, ৮ অগস্ট রাতে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স, নিরাপত্তাকর্মী ও সাফাইকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, মৃতার কিছু ঘনিষ্ঠ সহপাঠীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ কিছু জুনিয়র চিকিৎসক ক্লাসে হাজিরা দিতেন না, যা নিয়ে মৃত চিকিৎসক-পড়ুয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।এই মারাত্মক ঘটনাটির পরে, ৯ অগস্ট সকালে প্রাক্তন অধ্যক্ষ হাসপাতাল আসার আগেই কিছু চিকিৎসক সেমিনার হলে উপস্থিত ছিলেন। কেন তারা এত দ্রুত সেখানে পৌঁছলেন, তা নিয়ে তদন্তকারীরা প্রশ্ন তুলছেন। তদন্তের জন্য ওই চিকিৎসকদের মোবাইল কল ডিটেলস এবং টাওয়ার লোকেশন দেখা হচ্ছে। এর মাধ্যমে তাদের অবস্থান এবং কার সঙ্গে তারা যোগাযোগ করছিলেন, তা জানা যাবে।তদন্তকারীদের আরও দাবি, কিছু জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসক ঘটনাস্থলে দীর্ঘ সময় ধরে ছিলেন। তাদের বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। হাসপাতালের সেমিনার হলে এই চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিয়ে তাদের কাছে কোনো সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া যায়নি। কিছু চিকিৎসক দাবি করেছেন, তারা নিছক কৌতূহলের কারণে সেখানে গিয়েছিলেন।
বিয়ের প্রস্তাব আর নতুন প্রেমের আলোচনা সলমন খান
এক সিনিয়র চিকিৎসক আবার বলেছিলেন যে, তারা মৃতদেহের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আটকাতে চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তদন্তকারীদের মতে, এসব যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। তারা আরও জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে বিষয়টির গভীরে যেতে চান এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার আশা করছেন।এই তদন্তের মাধ্যমে যে বিষয়গুলো সামনে এসেছে, তা প্রকৃত ঘটনাটি ঘটার পেছনের রহস্য উদঘাটন করতে সহায়তা করবে।