ব্যুরো নিউজ,২৬ সেপ্টেম্বর:আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে বুধবার শিয়ালদহ আদালতে হাজির করা হয়। ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা এবং দেরিতে এফআইআর রুজু করার অভিযোগ রয়েছে। সিবিআই আদালতে দাবি করেছে, টালা থানায় মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু ভুয়ো নথি তৈরি করা হয়েছিল এবং সেগুলি অদল-বদল করা হয়েছে। সন্দীপ ও অভিজিতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় এই তথ্য তাদের কাছে এসেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তারা।
প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে শহর কলকাতা সতর্কতা জারি করল হাওয়া অফিস
সিসি ফুটেজসহ ডিভিআর ও হার্ড ডিস্ক ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে
আদালতে সিবিআই জানায়, টালা থানার সিসি ফুটেজসহ ডিভিআর ও হার্ড ডিস্ক ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং সেই তথ্য আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আসবে। বুধবার নারকো ও পলিগ্রাফ পরীক্ষার বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বিশেষজ্ঞ ভিনরাজ্যে যাওয়ার কারণে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারেননি।সন্দীপের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, দেরিতে এফআইআর করার অভিযোগ তার মক্কেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তিনি বলেন, “৯ অগাস্ট ঘটনার খবর পাওয়ার পর সকাল ৯:৫৮ মিনিটে টালা থানার তৎকালীন ওসিকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছিলেন।” এর পর দুপুরে অভিযোগ জানানো হয়েছে, তাই দেরিতে এফআইআর করার অভিযোগ কেন প্রযোজ্য হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।অভিজিতের আইনজীবী আদালতে মন্তব্য করেন, “টালা থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ কয়েকদিনের মধ্যে ফরেন্সিক থেকে আসবে। তাই সঠিক তথ্য পাওয়া গেলে জেরা করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “টালা থানার ঘটনার সঙ্গে অভিজিতের কোনো সম্পর্ক নেই।” অভিজিতের জামিনের আবেদন জানানোর সময় আইনজীবী অভিযোগ করেন, পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতারের নিয়ম মানা হচ্ছে না এবং অভিজিতের বিরুদ্ধে কোনো স্থায়ী অভিযোগ নেই।
২০২২ সালের টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভঃ নতুন নিয়োগের দাবিতে পথে
সিবিআইয়ের আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ-বিক্ষোভকে ‘বিরল থেকে বিরলতম জনরোষ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে সিসি ফুটেজ ও মোবাইল উদ্ধার হয়েছে, সেগুলির ফরেন্সিক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি।” সিবিআই ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়েছে এবং বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেছেন।আদালতে সিবিআই আরও দাবি করেছে যে, মূল অভিযোগ যৌন নিগ্রহ হওয়ায় রুদ্ধদ্বার শুনানির আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু তা এখনও মঞ্জুর হয়নি। যদিও এর বিরুদ্ধে অভিজিতের আইনজীবী আপত্তি জানান এবং সুপ্রিম কোর্টের শুনানির সরাসরি সম্প্রচারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।