ব্যুরো নিউজ,২৮ আগস্ট: আরজি করে নির্যাতিতা চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই এর হাতে তদন্ত গেলেও এখনো পর্যন্ত আরজিকরের ঘটনায় ধৃত ১ কিন্তু এই ধরনের নারকীয় পৈশাচিক ঘটনা কি সঞ্জয়ের একার পক্ষে করা সম্ভব? এর সঙ্গে আর কি কেউ জড়িত নয়? যদি জড়িত থাকে তাহলে তারা কারা? এই ধরনের একাধিক প্রশ্ন মানুষের মনে দানা বাঁধছিল।
বেনজির ছবি কলকাতার রাজপথে!১২ ঘন্টা বাংলা বনধের ডাক দিলো বিজেপি
পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয় ধৃতের
সেই কারণেই তদন্তকারী সংস্থা CBI এর তরফে ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করানো হয়। এছাড়াও আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ সহ বেশ কয়েকজনের পলিগ্রাফ টেস্ট করানোর সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই। ধৃত সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্টের রিপোর্টে যা উঠে এসেছে, তা যথেষ্ট চাঞ্চল্যকর। কি বলেছেন অভিযুক্ত? সিবিআই অফিসাররা জানাচ্ছেন, ধৃতের পলিগ্রাফ টেস্টের রিপোর্ট বলছে, এর পিছনে আরো অনেকে জড়িত। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় পলিগ্রাফ টেস্টের সময় একের পর এক মিথ্যা বয়ান দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক অভিমত এরকম। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সঞ্জয় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে গিয়ে মিথ্যা বয়ান দিচ্ছেন। কারণ পলিগ্রাফ টেস্টের সময় ধৃতের মধ্যে স্ট্রেস ধরা পড়েছে। হার্টবিট থেকে পালস রেটের বদল থেকেই বোঝা যাচ্ছে, সত্য মিথ্যা রয়েছে এই টেস্টে। টেস্টের সময় গ্রাফে অস্বাভাবিক রকমের পরিবর্তন হয়েছে। এই বয়ান অসত্য। অন্তত গ্রাফের সূচক সেটাই বলছে।
ধৃতকে সিবিআই দীর্ঘ জেরা করে। জেরায় ধৃত দাবি করে, সেদিন সেমিনার রুমে ঢোকেনি। কখনো দাবি করে, উঁকি মেরে দেখেছিল, কখনো আবার বলে, সে যখন ঢুকেছিল, তখন ঘর ফাঁকা ছিল। পলিগ্রাফ টেস্টের সময় আবার ধৃত দাবি করে, সেমিনার রুমে ঢুকেছিল, নির্যাতিতা চিকিৎসককে মৃত দেখেছিল, তাই ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ধৃত একবার দাবি করছে সে সেমিনার রুমে কাউকে দেখেনি। আবার পরেই বয়ান বদল করছে। আবার কখনো বলছে, নির্যাতিতা চিকিৎসককে মৃত অবস্থায় দেখে পালিয়ে গেছে। এই ধরনের বিভ্রান্তিকর বয়ানে গ্রাফে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে। যেহেতু পলিগ্রাফ টেস্টে গ্রাফের ওঠানামার পরিবর্তন দেখে নির্ধারিত করা হয় যে অভিযুক্ত সত্যি বলছে নাকি মিথ্যা, ধৃতের ক্ষেত্রে হার্টবিট এবং পালস রেট দেখে বিশেষজ্ঞ, মনোবিদ, ফিজিশিয়ানরা মনে করছেন, ধৃতের বয়ান অসত্য। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য মিথ্যা কথা বলছে।