গর্ভধারণ রোধ করা নতুন পদ্ধতি

ব্যুরো নিউজ ১৬ নভেম্বর : জন্মনিয়ন্ত্রণে নতুন দিশা আনতে ভারতে চালু হচ্ছে ‘ইমপ্ল্যান্ট’। ছোট্ট তাবিজের মতো দেখতে এই ডিভাইসটি মহিলাদের বাহুতে ত্বকের নিচে স্থাপন করলেই কমপক্ষে তিন বছরের জন্য গর্ভধারণ রোধ করা যাবে। সন্তান নিতে ইচ্ছুক হলে ডিভাইসটি খুলে ফেললেই প্রাকৃতিকভাবে গর্ভবতী হওয়া সম্ভব। এই অভিনব পদ্ধতি পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের আরও ৯টি রাজ্যে চালু হচ্ছে।

শীতের আমেজ মানেই গরম গরম পরোটা, জেনে নিন রকমারি পরোটার রেসিপি

ইমপ্ল্যান্ট কীভাবে কাজ করে?

ইমপ্ল্যান্টটি ৪ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২ মিলিমিটার ব্যাসের। এটি মহিলার জরায়ু থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণ বন্ধ করে এবং জরায়ুকে শুক্রাণুর জন্য অনুপযুক্ত করে তোলে। ফলে গর্ভধারণ সম্ভব হয় না। ইমপ্ল্যান্ট সরিয়ে ফেললে শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে এবং এক মাসের মধ্যেই মহিলারা গর্ভধারণ করতে পারেন।১৫-৪০ বছর বয়সী যে কোনও মহিলা এই ডিভাইসটি ব্যবহার করতে পারবেন। স্বেচ্ছামূলক এবং নিখরচায় দেওয়া এই ইমপ্ল্যান্ট দম্পতিদের জন্য উপলব্ধ। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে এটি বিতরণ শুরু হবে।

গুগলের AI-এর অদ্ভুতুড়ে উত্তর শুনে আতঙ্কে ব্যবহারকারীরা

ইমপ্ল্যান্টের সুবিধা

  • এটি শিশুকে স্তন্যপানে কোনও অসুবিধা করে না।
  • প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তানের মধ্যে ২-৩ বছরের ব্যবধান রাখতে সাহায্য করে।
  • অন্তরা ইঞ্জেকশনের মতো নির্দিষ্ট সময়সীমার বাধ্যবাধকতা নেই।

ডাচ কোম্পানির সহযোগিতায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ইতিমধ্যে ৯ লক্ষ ইমপ্ল্যান্ট সরবরাহ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যদপ্তর এই প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে। বিশেষ করে কম বয়সে মাতৃত্ব রোধে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।ভবিষ্যতে দেখা যাবে, এই পদ্ধতি কতটা জনপ্রিয় হয় এবং মহিলাদের জীবনযাত্রায় কতটা প্রভাব ফেলে। কিন্তু এখনই বলা যায়, জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এটি এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

https://youtu.be/e62tJQGXk_k?si=9PcEE6bimShTCwGy

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর