বাদাই গানের নবজাগরণ

ব্যুরো নিউজ ৭ নভেম্বর : পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চলে একসময় খুবই জনপ্রিয় ছিল বাদাই গান। সমাজ, প্রেম, প্রকৃতি এবং জীবনের বিভিন্ন রূপ নিয়ে রচিত এই ঐতিহ্যবাহী লোকগান বহু গ্রামে বিলুপ্তপ্রায়। মন্তেশ্বরের করন্দা গ্রামের মানুষ আবার ফিরিয়ে এনেছেন বাদাই গানের ঐতিহ্য।

রাজ্যে রোগীদের রেজিস্ট্রেশন ফি একবারই

পুরো গ্রাম আনন্দে মেতে ওঠে

বেশিরভাগই দিনমজুর, খেতমজুর—যাদের দিন কাটে কঠোর পরিশ্রমে, সেই মানুষগুলোই আবার বাদাই গানের শিল্পী। কাজের শেষে তারা সুর ধরেন, নিজেরাই গান লেখেন, সুর দেন এবং অভিনয় করেন। গ্রামে-গ্রামে এই বাদাই গানের মাধ্যমে তারা সাংস্কৃতিক চেতনা ও সামাজিক সচেতনতা ছড়িয়ে দিচ্ছেন।প্রায় দেড় দশক আগে থেকে করন্দা গ্রামে আবার শুরু হয়েছে বাদাই গানের চর্চা। পশুপতি দাস, বিষ্ণু দাসের মতো এই ঐতিহ্যবাহী গানের সাথে যুক্ত শিল্পীরা নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করে তুলেছেন। দিনমজুর কালীরাম রাজবংশী, স্বরূপ সাঁতরা এবং অশোক হাজরার মতো মানুষও এই গানের প্রতি ভক্তি এবং নৈপুণ্যে নিজেদের দক্ষ করে তুলেছেন। সঙ্গে রয়েছেন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার উজ্বল দে, গৃহশিক্ষক দেবজিৎ মুখোপাধ্যায় এবং তন্ময় দে, যারা নিজেদের লেখা গান দিয়ে এই চর্চায় নতুন মাত্রা যুক্ত করেছেন। সুর দেওয়ার দায়িত্বে আছেন বিকাশ পাল এবং অনুপ চক্রবর্তীরা।

বায়ুদূষণ রুখতে ধাপায় বড় মাপের বায়ো-সিএনজি প্ল্যান্টের উদ্যোগ কলকাতা পুরসভার

মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া দুদিনের এই বাদাই উৎসবে পুরো গ্রাম আনন্দে মেতে ওঠে। শিক্ষক সুদীপ মণ্ডল এবং রাজীব মুখোপাধ্যায় উৎসবের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। দশটি দলে ভাগ হয়ে চৌদ্দোটি পাড়ায় একক, ডুয়েট এবং গোষ্ঠীগান পরিবেশন করেন শিল্পীরা। বিভিন্ন পৌরাণিক, রোমান্টিক ও সামাজিক বিষয় নিয়ে গাওয়া এই গানগুলো গ্রামে সংস্কৃতি, শিক্ষা ও সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে।দিনভর মাঠে খাটুনির পরও এই শিল্পীরা পরিশ্রান্ত শরীরে সুর ধরেন এবং মনেপ্রাণে বাদাই গানের প্রচার চালান। এই সাংস্কৃতিক চর্চা শুধু তাদের নিজস্ব আনন্দ নয়; তা হয়ে উঠেছে গ্রামের মানুষের প্রেরণার উৎস, যা জীবনের টানাপোড়েনেও তাঁদের মানসিক শক্তি যোগায়।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর