বেল বটম

ব্যুরো নিউজ, ২৭ ফেব্রুয়ারি:দেড়শো বছর আগে, আমেরিকার কাউবয়রা যখন তাদের বুটের জন্য জিন্‌সের ঘের বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন, তখনই জন্ম নেয় ‘বুটকাট’ নামক জিন্‌সের নতুন কাট। জার্মান-আমেরিকান জিন্‌স প্রস্তুতকারক লেভি স্ট্রস ছিলেন এর পেছনে। কাউবয়রা যখন এই ধরনের জিন্‌স পরতে শুরু করলেন, তখন আমেরিকার নাবিকদের মধ্যেও দেখা যায়, তারা প্রায় একই ধরনের প্যান্ট পরছেন। তবে নাবিকরা সেই কাটে একটু পরিবর্তন এনে প্যান্টের ঘের আরও খানিকটা বাড়িয়ে দেন, আর সেই নতুন নাম হয় ‘বেল বটম’।

মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য শরীরে কোন ভিটামিনের ঘাটতি দায়ী জেনে নিন

ইতিহাস

এভাবে বুটকাট এবং বেল বটম হয়ে ওঠে আমেরিকার ফ্যাশনের অংশ, যা পরে অন্যান্য দেশের ফ্যাশনেও ছড়িয়ে পড়ে। আমেরিকার নাবিকদের মতো, সাধারণ মানুষও সেই সময়ে তাদের ফ্যাশন অনুকরণ করতে শুরু করেন। এই প্যান্টের ট্রেন্ড বিশেষত ষাট ও সত্তরের দশকের হিপি এবং বিট প্রজন্মের আন্দোলনের সময় আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বলিউড এবং হলিউডে অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খান্নার মতো অভিনেতাদের পরা বেল বটম প্যান্টও সেই সময়ের ফ্যাশনের একটি বড় অংশ ছিল। পরে, শাহরুখ খান, সলমন খানদের কাছেও বেল বটম প্যান্ট পরতে দেখা যায়।২০০০ সালে আবার বলিউডে এই ট্রেন্ড ফিরে আসে এবং একদিকে যেমন তা জনপ্রিয় হয়, অন্যদিকে স্কিনটাইট এবং ট্যাপার্ড ফিট জিন্‌সের ফ্যাশনও পাল্লা দিয়ে বেড়ে যায়।

কিন্তু বর্তমানে আবার এই বুটকাট এবং বেল বটম প্যান্ট ফিরে এসেছে নতুনভাবে। আলিয়া ভট্ট, জাহ্নবী কপূর, অনন্যা পান্ডে, রণবীর সিংহ, রাজকুমার রাও, বিজয় বর্মা, শাহরুখ খান, সলমন খান- এমন অনেক তারকাই আবার এই ট্রেন্ডে ফিরেছেন।আপনি যদি বুটকাট বা বেল বটম পরতে চান, তবে কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি। প্রথমত, প্যান্টের ফিট নিশ্চিত করুন। ভালো ফিট না হলে পুরো সাজই ব্যর্থ হবে। শরীরের আকৃতিকে সঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলা জরুরি, তাই ঢিলেঢালা পোশাক পরা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষত, প্যান্টের ঘের অনেকটা ছড়ানো থাকায়, সঙ্গের জামাটা যেন শরীরের ছাঁদ ঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলে। ছেলেরা চাইলে ওভারসাইজড টিশার্ট পরতে পারেন, তবে তার কাপড় যেন নরম হয় এবং শরীরের সঙ্গে ঠিকভাবে লাগে।

হুরহুর করে মেদ ঝরাতে গিয়ে হতে পারে এই মারাত্মক রোগ গুলি। যা শুনলে চোখ উঠবে কপালে

দ্বিতীয়ত, পোশাকের একাধিক স্তর ব্যবহার করতে পারেন। যেমন, ওভারসাইজড টিশার্টের ওপর একটি ফিটেড জ্যাকেট পরতে পারেন। মেয়েরা লম্বাটে টিশার্টের ওপর ক্রপ্‌ড জ্যাকেট অথবা স্লিম ফিট শ্রাগ পরতে পারেন, যা খুব বেশি ঢিলে না হয়। এইভাবে পোশাকের ভারসাম্য বজায় থাকবে।এছাড়া, বুটকাট বা বেল বটম প্যান্টের সঙ্গে ভালোভাবে মানানসই জুতো পরা গুরুত্বপূর্ণ। হাই অ্যাঙ্কল বুট কিংবা স্নিকার্স এই প্যান্টের সঙ্গে বেশ ভালো লাগে এবং পুরো লুককে পরিপূর্ণ করে তোলে। তাই, এই ট্রেন্ডে আপনি যদি অংশ নিতে চান, সঠিক জুতো এবং পোশাকের মিলও খেয়াল রাখুন।এভাবে, পুরানো ফ্যাশন আবার ফিরে আসছে এবং নতুন করে জনপ্রিয় হচ্ছে। বুটকাট এবং বেল বটম প্যান্ট এখন আরও আধুনিক ফ্যাশন হিসেবে পরিচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর