স্ক্রিন টাইম: আপনার কত ঘণ্টা ফোন ব্যবহার করা উচিত? জানুন সঠিক পরিমাণ

ব্যুরো নিউজ,২৮ ফেব্রুয়ারি :আজকাল আমাদের জীবনে স্মার্টফোনের গুরুত্ব অপরিসীম। কাজের চাপ, বিনোদন, যোগাযোগ—সব কিছুই এখন স্মার্টফোনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ফোন ছাড়া এখনকার দিনের দৈনন্দিন জীবন কল্পনাও করা কঠিন। কিন্তু, এদিকে মোবাইল ব্যবহারের অতিরিক্ত ফলে শরীর ও মন দু’ই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই এই প্রশ্ন উঠতেই পারে—কত ঘণ্টা স্ক্রিন টাইম নেওয়া নিরাপদ?

বুধের উদয়ের কারণে বদলাবে কাদের ভাগ্য ? কোন কোন রাশি মানুষ পাবেন ফল? জানুন

বয়স অনুযায়ী স্ক্রিন টাইমের পরিমাণ:

স্মার্টফোনের স্ক্রিন থেকে বেরিয়ে আসা ব্লু লাইট চোখের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর কারণে রেটিনার ক্ষতি হতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু চোখ নয়, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম শরীরের অন্যান্য অংশের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ঘুমের সমস্যা এবং স্লিপ ডিস্টার্বও হতে পারে। একে বলে ডিজিটাল স্ট্রেস বা মোবাইল স্ট্রেস। এর ফলে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ এমনকি অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডারের (OCD) মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।এমন পরিস্থিতি এড়াতে, বয়স অনুযায়ী কত ঘণ্টা স্ক্রিন টাইম নেওয়া উচিত, সেই বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

 বুধের উদয়ের কারণে বদলাবে কাদের ভাগ্য ? কোন কোন রাশি মানুষ পাবেন ফল? জানুন

১. ১ বছরের কম: এই বয়সের শিশুর জন্য স্ক্রিন টাইম একেবারেই উচিত নয়। এই সময়ে শিশুর শারীরিক ও মানসিক উন্নতির জন্য সরাসরি পারস্পরিক সম্পর্ক এবং খেলাধুলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
২. ১-২ বছর: এই বয়সের শিশুরাও স্ক্রিনের সামনে ১ ঘণ্টা থেকেও কম সময় থাকা উচিত। অনেক সময় যদি স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়, সেটা অবশ্যই গাইডেন্সের সঙ্গে হতে হবে।

৩. ৩-৪ বছর: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) মতে, ৩-৪ বছর বয়সী শিশুর স্ক্রিন টাইম ১ ঘণ্টার বেশি হওয়া উচিত নয়। এই বয়সে শিশুর পক্ষে বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপে অংশ নেওয়া জরুরি।

৪. ৫-১৭ বছর: এই বয়সের শিশু ও কিশোরদের জন্য WHO পরামর্শ দেয়, দিনে ২ ঘণ্টার বেশি স্ক্রিনে থাকা উচিত নয়। এর বেশি সময় ফোন বা ট্যাবলেটে গেমস খেললে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করলে মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৫. ১৮ বছর এবং তার উপরে: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও WHO-র পরামর্শ হল, দিনে ২ ঘণ্টার বেশি স্ক্রিন টাইম না নেওয়া। যেহেতু প্রাপ্তবয়স্কদের কাজে স্ক্রিন সময়ের পরিমাণ বেড়ে যায়, তাও চেষ্টা করতে হবে অতিরিক্ত ব্যবহার এড়াতে।

এছাড়া, স্মার্টফোনের ব্যবহার কেবল স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে না, এটি আমাদের মনও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় কাটানো মানসিক চাপের কারণ হতে পারে। তাই স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু সময় নিজেকে ফোন থেকে দূরে রেখে শারীরিক ক্রিয়াকলাপে অংশ নিতে পারেন। সেই সঙ্গে চেষ্টা করুন, প্রতিদিন নিয়মিতভাবে শরীরচর্চা করতে।

https://www.youtube.com/live/unk8Su8QA6E?si=GYGXn1wLfJ-7pI_p

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর