ব্যুরো নিউজ,২০ নভেম্বর:কেন্দ্র সরকার বহুদিন ধরেই রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করতে বলছে, যার ফলে গ্রাহকেরা দল বেঁধে গিয়ে লিঙ্কিং করছেন। কিন্তু শীর্ষ অর্থনীতিবিদদের একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা জানিয়েছে, আধার বায়োমেট্রিক সিস্টেমের সাথে রেশন সিস্টেম যুক্ত হওয়ার পরও নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন অনেক মানুষ। এর ফলস্বরূপ, দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ প্রায় ২.৮ কোটি টন খাদ্যশস্য চুরি বা নষ্ট হয়ে গেছে।ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর রিসার্চ অন ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক রিলেশন-এর অর্থনীতিবিদ অশোক গুলাটি একটি রিপোর্টে জানিয়েছেন, ২০১৩ সালের জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের আওতায় ৮১.৩ কোটি গ্রাহকের জন্য বরাদ্দ ২৮ শতাংশ খাদ্যশস্য কখনও তাদের কাছে পৌঁছায় না।এর মধ্যে কিছু শস্য পরিবহন বা বিতরণ ব্যবস্থায় নষ্ট হয়ে যায়, আবার কিছু রেশন চুরি হয়ে যায় অথবা এমন লোকদের কাছে চলে যায়, যারা প্রকৃত সুবিধাভোগী নয়।
সমস্যার সমাধানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি
২০১১ সালের জাতীয় নমুনা সমীক্ষার ডেটা অনুসারে, রেশন সরবরাহের প্রায় ৪১.৭ শতাংশের হিসাব মিলেছিল না। তবে ২০১২-২০১৩ সাল থেকে নির্বাচিত এলাকার পিডিএসের পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা কিছুটা উন্নতি করেছে এবং এখন পিডিএস কিছুটা হলেও স্বচ্ছ হয়েছে। গুলাটি আরও বলেন, এর পরিমাণ কতটা, তা নির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়, কারণ বার্ষিক ডেটা নেই। তবে সরকারের খাদ্য বিতরণের উপর বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে ধারণা পাওয়া গেছে যে, খাদ্যশস্য যোগ্য পরিবারগুলির কাছে পৌঁছায় না।এছাড়া, গুলাটি উল্লেখ করেছেন যে, সরকার অভাবী লোকদের জন্য যে শস্য বরাদ্দ করেছে, তা প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছে না পৌঁছানো একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যার জন্য তিনটি প্রধান কারণ বলা হয়েছে— রেশন চুরি, পরিবহন সময়ে পণ্য নষ্ট হওয়া এবং রেশন সঠিক মানুষের কাছে না পৌঁছানো । এর ফলে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ খাদ্যশস্য অনেক সময় তাদের কাছে পৌঁছায় না।
মন্দারমনি হোটেল ভাঙার নির্দেশে ক্ষুব্ধ হোটেল ব্যবসায়ীরা, দ্বারস্থ আদালতের
তবে, কিছু রাজ্য এই সমস্যার সমাধানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। বিহার, ছত্তিশগড় এবং ওড়িশা রাজ্যগুলির পিডিএস সিস্টেমে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, যার ফলে খাদ্যশস্য চুরির পরিমাণ কমানো সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে, বিহার রাজ্য তার শস্য লিকেজ ৯১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৪ শতাংশে এনেছে।সবশেষে, যদিও কিছু রাজ্য এই সমস্যায় উন্নতি করেছে, কিন্তু এখনও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রেশন সিস্টেমের স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।ফলে, সরকারের উচিত এই সমস্যাগুলির উপর আরও মনোযোগ দেওয়া।