ব্যুরো নিউজ,২ সেপ্টেম্বর: ধর্ষণ ও ধর্ষণের হুমকির ঘটনা যেন ছাড়তেই চাইছে না পশ্চিমবঙ্গকে। আরজিকরের ঘটনার পর এবার প্রতিবাদী কোচবিহারের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিল জনৈক সমাজবিরোধী। সঞ্জয় দাস নামে কারো একাউন্ট থেকে ওই ছাত্রীকে লেখা হয়েছে তোর কপালে অনেক কিছু লেখা আছে। খুব তাড়াতাড়ি ধর্ষিতা হবি।
আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতার কনসার্ট পেছোলেন শ্রেয়া ঘোষাল
থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও মারধর
আর জি করের ঘটনার পর কোচবিহারের ওই তরুণী ১৪ ই আগস্ট এর রাত দখলের অভিযানে সামিল হওয়ার পর টানা সেখানে প্রায় প্রতিটি প্রতিবাদী মিছিল মিটিংয়ে সামনের সারিতে ছিলেন। এবার ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার ঘটনার পরেই গত শনিবার দিনহাটা থানায় বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান ওই ছাত্রী। তবে তার সঙ্গে যে ব্যক্তি থানায় গিয়েছিল তাকে থানার বাইরে নিয়ে এসে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ছাত্রী। পুলিশ অবশ্য এখনো এই সঞ্জয় দাস সম্বন্ধে তেমন কিছু জানায়নি এবং কেই বা ওই অ্যাকাউন্ট থেকে হুমকি দিয়েছে তাও পরিষ্কার করেনি পুলিশ। ওই কলেজ ছাত্রী জানিয়েছেন ফেসবুকে প্রোফাইলটি লক ছিল তাই এখনো তেমন কিছু জানতে পারা যায়নি । ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন ওই ছাত্রী।
ক্রেডিট কার্ডের নিয়মে বড় পরিবর্তন?জানুন কী কী বদল এল
জানা গেছে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে ওই ছাত্রীর আধার কার্ডের জেরক্স চায় পুলিশ। আধার কার্ডের জেরক্স করতে যান ছাত্রীর সঙ্গে এসইউসিআই কর্মী আজিজুল হক। আর সেই সময় তাকে ব্যাপক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। থানায় বিষয়টি জানালেও পুলিশ নির্বিকার। রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন যে ,কোন ঘটনা ছোট থেকে বড় হয় সেগুলি প্রথমেই পদক্ষেপ করে পুলিশের উচিত নিয়ন্ত্রণ করা । তা না করলে বিষয়টি বড় হয়ে দাঁড়ায়। এসইউসিআই এর জেলা নেত্রী নাজমা খন্দকার জানিয়েছেন ওই ছাত্রীকে হুমকির প্রতিবাদে ২ সেপ্টেম্বর জেলা জুড়ে প্রতিবাদ জানাবে এসইউসিআই। তবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ তিনি অবশ্য একইভাবে আন্দোলনকে গুরুত্ব দিতে নারাজ । তিনি বলেছেন কে সঞ্জয় দাস তাকে পুলিশ খুঁজে বের করে তার পরিচয় জানাক। পুলিশ অবশ্য তেমন সক্রিয় পদক্ষেপ এখনো করেনি।