‘র‌্যাবিট ফিভার’ বা টুলারেমিয়া কি?

ব্যুরো নিউজ,১৩ জানুয়ারি:বর্তমানে পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন রোগ নিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। এরই মধ্যে আমেরিকায় নতুন এক রোগ ‘র‌্যাবিট ফিভার’ বা টুলারেমিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। শিশু থেকে বয়স্ক, প্রায় সব বয়সের মানুষের শরীরে এই রোগের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। এবার, ভারতের মতো দেশেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে।‘র‌্যাবিট ফিভার’ ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট কোনো রোগ নয়, বরং এটি একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। এর মূল কারণ হলো ফ্রান্সিসেল্লা টুলারেনসিস নামক এক অতি সংক্রামক ব্যাকটেরিয়া।

ভারতের ঐতিহাসিক জয়ঃ স্মৃতি মন্ধনার নেতৃত্বে আইরিশদের বিপক্ষে বিশাল ব্যবধানে জয়

উপসর্গ


আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC)-এর মতে, এই ব্যাকটেরিয়া সাধারণত খরগোশ বা ইঁদুর জাতীয় প্রাণীর মাধ্যমে ছড়ায়। খামারে খরগোশ পালনের সময় বা পোষ্য খরগোশ থেকেও এই ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরে পৌঁছাতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া মাছি বা অন্যান্য পতঙ্গের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এছাড়াও, নোংরা জল বা বাতাসের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে।এই রোগের লক্ষণগুলিও ভয়ঙ্কর হতে পারে। সাধারণত জ্বর, বমি, পেট খারাপ, গলাব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা দেয়। অনেক সময় ত্বকে ফুস্কুরি বা সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত হলে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, চোখে প্রদাহ, এমনকি নিউমোনিয়ার লক্ষণও দেখা দিতে পারে। বিশেষত, যদি এই রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়, তাহলে ত্বকে আলসার হতে পারে, যা চিকিৎসা বিজ্ঞানে ‘আলসেরোগ্ল্যান্ডুলার টুলারেমিয়া’ নামে পরিচিত।

স্যালাইন কাণ্ডে কলকাতায় আনা হল তিন গুরুতর অসুস্থ প্রসূতিকে

এছাড়া, রোগীকে ভেন্টিলেটরে রাখার প্রয়োজনও হতে পারে যদি নিউমোনিয়ার লক্ষণ তীব্র হয়। টুলারেমিয়া থেকে বাঁচতে, বিশেষজ্ঞরা পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। মাস্ক পরা, বারবার হাত ধোওয়া এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে না আসা এই রোগ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে। চিকিৎসকরা আরও বলেছেন, রাস্তাঘাটে কাটা ফল, স্যালাড বা ঠান্ডা পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।এই রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ করলে রোগটি থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর