ব্যুরো নিউজ ১ নভেম্বর : পুজোর শেষেই শীতের আমেজ শুরু, আর সেই সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দীপনা! যদি পাহাড়, নদী, চা-বাগান এবং বন্যপ্রাণ সবই উপভোগ করতে চান, তবে ডুয়ার্স হতে পারে এক আদর্শ গন্তব্য। কলকাতা থেকে ১৫-১৬ ঘণ্টার রাস্তা গাড়িতে যাওয়া গেলে, ভ্রমণের মজা আরও উপভোগ্য হয়ে ওঠে।
আইপিএল রিটেনশনে রেকর্ডঃ ক্লাসেনের ২৩ কোটি, বিরাটের ২১ কোটি
ডুয়ার্সে দর্শনীয় স্থান
ডুয়ার্সে ঢোকার অন্যতম আকর্ষণ হলো ফরাক্কা ব্যারেজ, যেখান থেকে সকালেই রওনা দিলে সারা পথের রূপ উপভোগ করা সম্ভব। এখানে আপনি পাবেন প্রকৃতির অবারিত সৌন্দর্য। ডুয়ার্স নামের অর্থই “দরজা”, যা ভারত ও ভুটানের প্রবেশপথ। শিলিগুড়ি থেকে শুরু করে আসামের উদলগুড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত এই অঞ্চল। এর মধ্যে গরুমারা সাফারি, মূর্তি নদী, জলদাপাড়া সাফারি, চিলাপাতার জঙ্গল, বক্সা ফোর্ট এবং মহাকাল দর্শন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রায় ৭-৮ দিন প্রয়োজন ডুয়ার্সের প্রধান স্থানে ভ্রমণ করতে, তবে নাম না জানা অজানা কিছু স্থান ঘুরতে আরও কিছু দিন অতিরিক্ত সময় রাখলে ভালো হয়।
ওজন কমানোর জন্য রোজ সকালে কি আপনি হাটতে যাচ্ছেন? এই ভুলগুলি একেবারেই করবেন না
কোথায় থাকবেন?
সরকারি বাংলো থেকে শুরু করে হোম স্টে পর্যন্ত সব রকম ব্যবস্থা এখানে রয়েছে। জয়ন্তী, মূর্তি প্রভৃতি স্থানে বন দফতরের হোটেলও পাওয়া যায়। ডুয়ার্সের ভ্রমণের সঙ্গে চাইলে কোচবিহার, কালিম্পং বা দার্জিলিঙের মতো কাছাকাছি জায়গাগুলিও ঘুরে নিতে পারেন।
ডুয়ার্সে পৌঁছানোর সহজ পথ
ডুয়ার্স যেতে পারেন নিবেদিতা সেতু ধরে গুসকরা, দুর্গাপুর, রামপুরহাট, ফরাক্কা হয়ে রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, জলপাইগুড়ি, ধূপগুড়ি, ফালাকাটা এবং আলিপুরদুয়ার। মালবাজার দিয়ে গেলে জলপাইগুড়ি থেকে ফুলবাড়ি, ওদলাবাড়ি হয়ে পৌঁছাতে পারবেন।যা ডুয়ার্সের যাত্রাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।